নদীভাঙন এলাকার মানুষকে সিঙ্গাপুরের স্বপ্ন দেখালেন প্রতিমন্ত্রী
দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমবারের মতো বরিশালে এসে নদীভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম। এ সময় তিনি নদীভাঙন এলাকার মানুষকে সিঙ্গাপুরের স্বপ্ন দেখান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্ষার আগেই বরিশালের বিভিন্ন স্থানে নদীভাঙন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এরই মধ্যে এই এলাকার ভাঙন ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বরিশালকে ‘মিনি সিঙ্গাপুরে’ পরিণত করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী শামীম বলেন, ছোটবেলায় যখন গ্রামে যেতাম তখন নদী ভাঙনকবলিত মানুষের দুঃখ-দুর্দশা দেখে তাদের জন্য কিছু করার কথা ভাবতাম। আল্লাহর মেহেরবানিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে সেই পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন। এখন মানুষের দুঃখ-দুর্দশা রোধে নদীভাঙন প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেব। নদী তীরের বাসিন্দাদের যাতে আর অস্থায়ী ঠিকানায় যেতে না হয় সেই ব্যবস্থাই করব।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর ভাঙনকবলিত বেলতলা, চরবাড়িয়া, লামছড়ি, জনতারহাট এবং চরকাউয়া এলাকা পরিদর্শন করেন প্রতিমন্ত্রী।
এ সময় নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সঙ্গে কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। তাদের দুঃখ-দুর্দশার কথা শুনে আবেগাপ্লুত হয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, নদীভাঙন মোকাবিলায় স্থায়ী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।
স্পিডবোটযোগে কীর্তনখোলা নদীর ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শনকালে বিভিন্ন স্থানে পথসভা করেন প্রতিমন্ত্রী। পথসভায় তিনি বলেন, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে পদ্মা সেতু, পায়রা বন্দর, ফোরলেন সড়ক ও রেললাইন দৃশ্যমান হবে। বরিশালে আসবে ভোলার গ্যাস। এরপরই বরিশালের আমূল পরিবর্তন চোখে পড়বে। সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নকে শহরে পরিণত করা হবে।
নির্বাচনের আগে দেয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বরিশালকে একটি ‘মিনি সিঙ্গাপুরে’ পরিণত করা হবে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বরিশালকে ‘মিনি সিঙ্গাপুরে’ পরিণত করতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
এ সময় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন- বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টুসহ জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।
সাইফ আমীন/এএম/পিআর