হস্তান্তরের আগেই হেলে পড়লো সীমানা প্রাচীর
নির্মাণ কাজ শেষ না হতেই হেলে পড়েছে নীলফামারী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সীমানা প্রাচীর। সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় হেলে পড়া সীমানা প্রাচীরটি যাতে ভেঙে না পড়ে সেজন্য খুঁটি দিয়ে আটকানোর চেষ্টা করে রেখেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ নিম্নমানের কাজ হওয়ার কারণে সীমানা প্রাচীরটি হেলে পড়েছে। পাশাপাশি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মূল ভবনটি নির্মাণেও অনিয়ম করার অভিযোগ করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে প্রবাসী ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ২১ কোটি ৬৯ লাখ ৪৬ হাজার টাকা ব্যয়ে দুই একর জমির উপর ২০১২ সালে নীলফামারী জেলা শহরের কুখাপাড়া এলাকায় কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ শুরু হয়।
গণপূর্ত বিভাগের তত্ত্বাবধায়নে তিনটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অফিস বিল্ডিং, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র , আবাসিক ভবন ও সীমানা প্রাচীরসহ যাবতীয় কাজের দায়িত্ব পান। অধিকাংশ কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। যদিও সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ বেশ কিছুদিন আগে সম্পন্ন হয়েছে।
এরই মধ্যে ওই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল নিয়োগ করে বিভিন্ন ট্রেডে শিক্ষার্থী ভর্তির কাজ শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে কথা বললে নীলফামারী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ মো. রাশেদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ২০১২ সালে কাজটি শুরু হয়। সীমানা প্রাচীরের কাজ বেশ কিছুদিন আগে শেষ করে ঠিকাদার। এখন প্রশাসনিক, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও আবাসিক ভবনের কাজ শেষ পর্যায়ে।
তিনি বলেন, গত শনিবার থেকে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পেছন দিকের সীমানা প্রাচীরটি হেলে গেলে ঠিকাদারের লোকজন খুঁটি দিয়ে সেটি কোনোভাবে আটকিয়ে রাখে। বিষয়টি গণপূর্ত বিভাগকে জানানো হলে তারা পরিদর্শন করে যান। কাজটি ত্রুটিপূর্ণ হওয়ার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। তবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এখনো স্থাপনার কাজ শেষ করে আনুষ্ঠানিকভাবে ভবন হস্তান্তর করেনি।
এ ব্যাপারে ওই কাজের তদারকিতে থাকা নীলফামারীর গণপূর্ত বিভাগের এসও নাজমুল হোসেনে সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তাকে অফিস ও নির্মাণাধীন নীলফামারী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পাওয়া যায়নি। এমনকি তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
জাহেদুল ইসলাম/এমজেড/আরআইপি