ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

১২ ঘণ্টার মধ্যেই বাবাহারা আঁখিকে উদ্ধার করল পুলিশ

শ্রীপুর (গাজীপুর) | প্রকাশিত: ০৯:৪২ পিএম, ২২ জানুয়ারি ২০১৯

বাবা নেই তাহমিনা ওরফে আঁখি মনির (৭)। মা পোশাক কারখানার শ্রমিক। অনেক কষ্ট করে মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করেছেন মা রাবেয়া খাতুন।

বাবার স্নেহবঞ্চিত আঁখি মনি স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে অপহরণের শিকার হয় সোমবার। সারাদিন মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে মায়ের বুকফাটা আর্তনাদে পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠে।

মায়ের দাবি যেকোনো মূল্যে তার নাড়িছেঁড়া ধনকে ফেরত আনা। এই অসহায় মায়ের সন্তানকে উদ্ধারে এগিয়ে আসে পুলিশ। পুলিশের দৃঢ়তায় ১২ ঘণ্টার মধ্যেই অপহরণকারীদের জিম্মিদশা থেকে মঙ্গলবার বিকেলে আঁখি মনিকে উদ্ধার করে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেয়া হয়। পাশাপাশি অপহরণকারীকে পাঠানো হয় কারাগারে।

উদ্ধার শিশু তাহমিনা ওরফে আঁখি মনি বেড়াইদের চালা আইডিয়াল কিন্ডার গার্টেনের ছাত্রী। তার মা রাবেয়া খাতুন শ্রীপুর পৌর এলাকার বেড়াইদেরচালা গ্রামে ভাড়া থেকে তাকওয়া ফ্রেবিক্স নামের একটি কারখানায় চাকরি করেন। এ ঘটনায় আটক শফিকুল ইসলাম (৩০) দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট থানার মগলিশপুর মৃত আনসার আলীর ছেলে।

শ্রীপুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাজীব কুমার সাহা বলেন, আটক শফিকুল ইসলাম ও রাবেয়া খাতুন স্থানীয় সারফুলের বাড়িতে ভাড়া থাকে। সোমবার দুপুর ১২টায় স্কুল ছুটির পর আঁখি মনির বাড়ি ফেরার পথে তাকে অপহরণ করে শফিকুল ইসলাম। স্কুলের সময় গড়িয়ে বিকেল হয়ে গেলেও আঁখি মনি বাড়ি ফিরে না আসায় তার মা আশপাশে খুঁজাখুঁজি করে। সন্ধ্যায় রাবেয়া খাতুনের নিকট আত্মীয়ের মুঠোফোনে শফিকুল ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এ সময় মুক্তিপণ না দিলে শিশুকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে শিশুর মা শ্রীপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে আঁখি মনিকে উদ্ধারে মাঠে নামে পুলিশ। পরে প্রযুক্তির সহায়তায় গাজীপুরের চন্দ্রায় পরিত্যক্ত ভবনের দোতলা থেকে অপহরণকারীসহ আঁখি মনিকে উদ্ধার তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেয়া হয়।

শ্রীপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা (ওসি) জাবেদুল ইসলাম বলেন, অপহরণের ঘটনায় মামলা দায়ের করে অপহরণকারীকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

শিহাব খান/এএম/এমএস