পুলিশের ওপর সিএনজি চালকদের হামলা
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে সিএনজি চলাচলে বাধা দেয়ায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে চালকরা। এতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
এ সময় পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে ভৈরব হাইওয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গেলে পালিয়ে যায় সিএনজি চালকরা। তবে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর রায়পুরা থানার নীলকুটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আটককৃতরা হলো- সিএনজি চালক হানিফ মিয়া (৬০) ও ওয়ার্কশপ কর্মচারী শফিকুল ইসলাম (৪০)। এ ঘটনায় ভৈরব হাইওয়ে থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে প্রতিদিন সিএনজি চলাচল করছে। সোমবার সন্ধ্যায় ভৈরব হাইওয়ে থানা পুলিশের সার্জেন্ট সাইরুল ইসলাম রায়পুরা থানা এলাকার নীলকুটিতে কয়েকজন চালককে মহাসড়কে সিএনজি চালাতে বাধা দেয়। এতে ক্ষেপে যায় সিএনজি চালকরা।
মঙ্গলবার সকালে নীলকুটি এলাকায় সিএনজি চলাচলে আবারও বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় সিএনজি চালক শফিকুলের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন চালক পুলিশের গাড়িতে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে হামলা চালায়। এতে সার্জেন্ট সাইরুল, পুলিশের কনস্টেবল জহিরুল ও কনস্টেবল এনায়েত আহত হন।
খবর পেয়ে ভৈরব হাইওয়ে থানা পুলিশের ওসি মো. তরিকুল ইসলাম একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে সিএনজি চালকরা পালিয়ে যায়। তবে তিনটি সিএনজি এবং দুইজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
ভৈরব হাইওয়ে থানা পুলিশের ওসি মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, মহাসড়কে সিএনজি চলাচলে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও প্রতিদিন তা অমান্য করছে চালকরা। ফলে প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা। সার্জেন্ট সিএনজি চলাচলে বাধা দিলে পুলিশের ওপর হামলা চালায় চালকরা। সেই সঙ্গে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। আজকের ঘটনার জন্য সিএনজি চালক শফিকুল ইসলাম দায়ী। পুলিশকে মারধরের ঘটনায় মামলা হবে। তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
আসাদুজ্জামান ফারুক/এএম/আরআইপি