র্যাবের ফোন নম্বরে কল দিয়ে ফেঁসে গেলেন তমিজ উদ্দিন
ছেলে হত্যা মামলার আসামি। তাই বাদীর পরিবারকে ফাঁসাতে বোমা, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, অস্ত্র ও গুলি রেখে র্যাবকে খবর দিয়েছিলেন তমিজ উদ্দিন। কিন্তু প্রতিপক্ষ নয়, নিজেই গেলেন ফেঁসে। র্যাবের হাতে ধরা পড়লেন তিনি।
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার জয়মন্টপ ইউনিয়নের পূর্বভাকুম এলাকায় মঙ্গলবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ১০টি ককটেল, চারটি পেট্রলবোমা, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, একটি বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি ও ম্যাগাজিন উদ্ধার করে র্যাব।
র্যাব-৪-এর উপ-অধিনায়ক মেজর আব্দুল হাকিম বলেন, সোমবার রাতে নাম-পরিচয় গোপন রেখে র্যাবকে এক ব্যক্তি ফোন করে জানান সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য ভাকুম গ্রামে বোমা, অস্ত্র ও গুলি মজুত করা হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত হিসেবে মনছুর আলী, আনছার আলী ও জালালের নাম বলা হয়। খবর পেয়ে রাতেই ভাকুম গ্রামে অভিযান চালানো হয়। পরে আনছার আলীর বাড়ির পাশে খড়ের পালার নিচ থেকে ১০টি ককটেল, চারটি পেট্রলবোমা, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, একটি বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি ও ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়।
র্যাবের উপ-অধিনায়ক মেজর আব্দুল হাকিম আরও বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে র্যাব জানতে পারে ফোনে তথ্যদাতার বাড়িও ঘটনাস্থলের আশপাশেই। বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায় তমিজ উদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে র্যাব। একপর্যায়ে তমিজ উদ্দিন স্বীকার করেন প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে তিনি এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ রেখেছিলেন। পরে তাকে আটক করে র্যাব।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে আনছার আলীর ছেলে কলেজছাত্র রাসেল খুন হন। এই হত্যা মামলায় র্যাবের হাতে আটক তমিজ উদ্দিনের ছেলে রকিবসহ চারজনকে আসামি করা হয়।
এই ঘটনার জের ধরে বাদীর পরিবারকে ফাঁসাতে এমন ঘটনা সাজানো হয় বলে জানান র্যাব-৪-এর উপ-অধিনায়ক মেজর আব্দুল হাকিম।
বি.এম খোরশেদ/এএম/এমকেএইচ