স্ত্রী হত্যায় স্বামীসহ চারজনের মৃত্যুদণ্ড
সিরাজগঞ্জে গৃহবধূ সুমী রানী রায় হত্যা মামলায় তার স্বামীসহ চারজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্তদের এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ফজলে খোদা মো. নাজির এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নিহত গৃহবধূর স্বামী সুবির, দুই ভাসুর সুমির রায় ও সুশীল রায় এবং চাচা শ্বশুর মনোরঞ্জন। আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে পলাতক রয়েছেন।
সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট কায়সার আহম্মেদ লিটন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ১৯৯৯ সালে টাঙ্গাইল জেলা শহরের গোপীনাথ বিশ্বাসের
মেয়ে সুমী রায়ের সঙ্গে সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার মুজিব সড়কস্থ শীলা জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী সুবীর কুমার রায়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য বিভিন্ন সময় সুমী রানীকে নির্যাতন করে আসছিলেন তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। ২০০১ সালের ১২ জানুয়ারি যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকার করায় গৃহবধূর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে মারপিট ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে মর্মে প্রচার করা হয় এবং এ বিষয়ে থানায় জিডি করা হয়।
পরবর্তীতে মরদেহের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে হত্যার বিষয়টি প্রমাণ হলে সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে নিহতের স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকেই ওই চার আসামি পলাতক ছিলেন। মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে মঙ্গলবার দুপুরে বিচারক চারজনের মৃত্যুদণ্ড দেন।
মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আনোয়ার পারভেজ লিমন এবং আসামীপক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত স্টেট ডিফেন্সের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এস এম জাহাঙ্গীর আলম।
ইউসুফ দেওয়ান রাজু/আরএআর/পিআর