ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ঝুঁকি নিয়ে পরিত্যক্ত ভবনে চলছে ক্লাস

বেনাপোল (যশোর) | প্রকাশিত: ১০:৫৮ এএম, ২২ জানুয়ারি ২০১৯

যশোরের শার্শা উপজেলার উলাশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত ভবনে দীর্ঘ দিন ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। যে কোনো মুহূর্তে পরিত্যক্ত ভবন ধসে ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

জানা গেছে, ১৯৪২ সালে উলাশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হওয়ার সময় বর্তমান পরিত্যক্ত ভবনটি নির্মিত হয়। উপজেলার উলাশি ইউনিয়নের স্বনামধন্য এই বিদ্যাপিঠের পুরাতন ভবনটি ২০১২ সালে উপজেলা শিক্ষা অফিস কর্তৃপক্ষ পরিত্যক্ত ঘোষণা করার পর আজও নতুন কোনো বিকল্প ভবনের মুখ দেখেনি সেখানকার শিক্ষার্থীরা। ফলে বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সেই পরিত্যক্ত ভবনে ক্লাস করতে হয় । আর পরিত্যক্ত ভবনে জায়গা না হওয়ায় স্কুল মাঠের গাছ তলায় জরাজীর্ণ টিনশেডের নিচে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস চলছে। অন্য দুইটি ভবনের চারটি কক্ষের একটি অফিস কক্ষ এবং তিনটি চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস রুম।

এ বিষয়ে উলাশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান বলেন, এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১১ জন শিক্ষক এবং প্রায় ৫০০ জন শিক্ষার্থী আছে। এ জন্য ১০টি শ্রেণিকক্ষের প্রয়োজন। কিন্তু আছে মাত্র তিনটি। শ্রেণিকক্ষের অভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পরিত্যক্ত ভবনে শিক্ষার্থীদের ক্লাস করতে হচ্ছে দীর্ঘ ছয় বছর ধরে। যে কোনো মুহূর্তে পরিত্যক্ত ভবন ধসে ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। বারবার ভবনের জন্য তাগিদ দেয়া সত্ত্বেও শিক্ষা অফিস থেকে আশ্বাস পাওয়া গেলেও ছয় বছরে ভবনের দেখা মেলেনি। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতি বছর মেধা তালিকায় শিক্ষার্থীরা স্থান করে নেয়। এমন প্রতিকূল পরিবেশ থাকা সত্ত্বেও ২০১৭ সালে চারজন শিক্ষার্থী ট্যালেন্টপুলে মেধা তালিকায় নাম লিখিয়েছিল।

শার্শা উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে উপজেলার উলাশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাস করতে হচ্ছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। প্রতি বছর এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নতুন ভবনের জন্য ঊর্ধ্বতন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট পরিত্যক্ত ভবনের ছবিসহ বারবার আবেদন করার পরও কেন নতুন ভবনের বরাদ্দ আসছে না তা আমাদের বোধগম্য নয়।

জামাল হোসেন/আরএআর/জেআইএম

আরও পড়ুন