ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

গাইবান্ধায় ৬৬ হাজার লোক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত

প্রকাশিত: ১১:৪৯ এএম, ২৪ আগস্ট ২০১৫

গাইবান্ধায় ৪টি উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের ৬৬ হাজার লোক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, ঘাঘট ও করতোয়া নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় গাইবান্ধার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। ব্রহ্মপুত্রের পানি সোমবার বিপদসীমার ২৬ সে. মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
 
ঘাঘট নদীর পানি হু হু করে বাড়ছে। ফলে রংপুর-গাইবান্ধা সড়কের বামনডাঙ্গার ঘাঘট নদীর স্লুইস গেটটি এখন হুমকির মুখে। যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এদিকে সর্বানন্দ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় বাঁধটি এখন মারাত্মক হুমকির মুখে।

স্থানীয় লোকজন বাঁধে মাটি ফেলে তা রক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছেন। এছাড়া বামনডাঙ্গা বাজারও এখন জলমগ্ন। এতে বামনডাঙ্গার সাতগিরি, মহামারি, পাইটকাপাড়া, শিববাড়ি, কুটিপাড়া, নগর কাটগড়া গ্রামের মারাত্মকভাবে বন্যা কবলিত। এসব এলাকার প্রায় পাঁচ হাজার লোক পানিবন্দী। ইতোমধ্যে প্রায় ৩ হাজার বন্যা কবলিত মানুষ গবাদি পশুসহ সুন্দরগঞ্জের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন।

ফুলছড়ি উপজেলার কাইয়ারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্রহ্মপুত্র নদের বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় বিদ্যালয়টি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বন্যায় এ জেলার সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও গাইবান্ধা সদর উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের ৬৭টি গ্রামের ৬৫ হাজার ৭২০ জন মানুষ পানিবন্দী হয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এছাড়া এ পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ২ হাজার ২৪২ হেক্টর জমির ফসল পানিতে ডুবে গেছে। জরুরি ভিত্তিতে বন্যাদুর্গত এসব এলাকায় এ পর্যন্ত ১৭ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া জরুরি ত্রাণ সাহায্য বাবদ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২শ মে. টন চাল এবং পাঁচ লাখ টাকা খয়রাতি সাহায্য বাবদ প্রদান করা হয়েছে।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবাহী প্রকৌশলী আব্দুল আউয়াল জাগো নিউজকে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি ১৬ সে.মি. বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২৬ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া করতোয়ার পানি ৪৮ সে. মি. ও ঘাঘট নদীর পানি ১১ সে. মি. বৃদ্ধি পেলেও এখনো এ দুটি নদীর পানি বিপদসীমার সামান্য নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে তিস্তা নদীর পানি অপরিবর্তিত রয়েছে।

অমিত দাশ/এমজেড