ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

রাজশাহীতে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০

প্রকাশিত: ০৯:১১ পিএম, ২৩ আগস্ট ২০১৫

রাজশাহী মহানগরীতে ছাত্রলীগের জেলা শাখার দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। রোববার রাত ৮টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ মিলনায়তনের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি বর্তমানে পুলিশের নিয়ন্ত্রণে। ঘটনাস্থলে বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

আহত ছাত্রলীগ কর্মীরা হলেন মারুফ, জহুরুল, শাকিব। এরা বাঘা উপজেলা ছাত্রলীগের কর্মী। বাকিদের নাম পাওয়া যায়নি। আহতদের মধ্যে তিনজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ সংঘর্ষ চলাকালে বাঘা উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বহনকৃত একটি বাসে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়।

ছাত্রলীগ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, রোববার বিকেলে নগরীর লক্ষীপুরে ১৫ আগস্ট উপলক্ষে জেলা ছাত্রলীগের আলোচনা সভা ছিল। এ সভা চলাচালে বাঘা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাইনুল ইসলাম মুক্তাকে গালিগালাজ করেন ছাত্রলীগের একাংশের কয়েকজন কর্মী। এ নিয়ে সেখানেই তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

পরে রাতে আলোচনা সভা শেষে বাঘায় ফিরছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের অপর গ্রুপের নেতাকর্মীরা। আধা ঘণ্টাব্যাপি চলা এ সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত নি। এসময় ওই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ এসে নিয়ন্ত্রণে আনে।

জেলা ছাত্রলীগের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বাঘা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাইনুল ইসলাম মুক্তা। অপর গ্রুপের নেতৃত্বে দেন বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুলের ছেলে আশিকুজ্জামান।

উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাইনুল ইসলাম মুক্তা অভিযোগ করে জাগো নিউজকে জানান, ‘উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুলের ছেলে ও জেলা ছাত্রলীগ কর্মী আশিকুজ্জামানের নির্দেশে মহানগর ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী আমাদের উপর হামলা চালায়। আশিকই মহানগর ছাত্রলীগের কর্মীদের ভাড়া করে আলোচনা সভার ভিতরেই আমাকে উদ্দেশ্য করে গালি দেয়।

এদিকে, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেরাজ উদ্দিন সংঘর্ষ ও হামলার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘বিষয়টি নিজেদের মধ্যেই ঘটেছে। আমরা মীমাংসা করার চেষ্টা করছি।’

জেলা আ’লীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘বাঘা উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদকের ছেলে ও জেলা ছাত্রলীগের কর্মী আশিকুজ্জামানের নেতৃত্বে নগরীর কিছু ছেলে উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করেছে। বিষয়টি আমরা দেখছি।’

শাহরিয়ার অনতু/বিএ