ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

হেঞ্জু মাঝিও স্বীকার করল সুবর্ণচরের গৃহবধূকে ধর্ষণের কথা

জেলা প্রতিনিধি | নোয়াখালী | প্রকাশিত: ১০:০৬ পিএম, ১২ জানুয়ারি ২০১৯

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় ভোটের রাতে দলবেঁধে নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে গ্রেফতারকৃত মো. জামাল প্রকাশ হেঞ্জু মাঝি।

শনিবার বিকেলে নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শোয়েব উদ্দিন খানের আদালতে এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় হেঞ্জু মাঝি। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জাকির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে শুক্রবার ভোরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কুমিল্লার দাউদকান্দি এলাকা থেকে হেঞ্জু মাঝিকে গ্রেফতার করে। হেঞ্জু মাঝি সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নের মধ্যম বাগ্যা গ্রামের মৃত চান মিয়ার ছেলে।

ওই গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় নোয়াখালীর ২ নম্বর আমলি আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নবনিতা গুহের কাছে ছয়জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। হেঞ্জু মাঝিসহ এ নিয়ে মোট সাতজন জবানবন্দি দিলো। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, ৩০ ডিসেম্বর সকালে নির্যাতিত গৃহবধূ ভোট দিতে গেলে নৌকার কয়েকজন সমর্থক তাকে নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে বলে। তিনি তখন ধানের শীষে ভোট দেয়ার কথা বললে তাদের সঙ্গে তর্কাতর্কি হয়। এ সময় তারা তাকে ‘তোর কপালে শনি আছে’ বলে হুমকি দেয়। পরে কেন্দ্র থেকে দ্রুত বের হয়ে বাড়ি ফিরে যান গৃহবধূ।

এরপর রোববার রাত ১২টার দিকে একই এলাকার ১০-১২ জন তাদের বাড়িতে এসে প্রথমে বসতঘর ভাঙচুর করে। একপর্যায়ে তারা ঘরে ঢুকে তার স্বামীকে পিটিয়ে আহত করে। পরে স্বামী ও স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে (১২) বেঁধে রেখে টেনে-হিঁচড়ে ঘরের বাইরে নিয়ে গৃহবধূকে গণধর্ষণ করে তারা।

একপর্যায়ে তারা তাকে গলা কেটে হত্যার করতে উদ্যত হয়। এ সময় প্রাণ ভিক্ষা চাইলে তারা তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় বাড়ির উঠান সংলগ্ন পুকুর ঘাটে ফেলে চলে যায়।

মিজানুর রহমান/এএম/আরআইপি

আরও পড়ুন