ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

একদিনে বাগেরহাট হাসপাতালে দুই শতাধিক রোগী ভর্তি

জেলা প্রতিনিধি | বাগেরহাট | প্রকাশিত: ০৮:৫৬ পিএম, ০৯ জানুয়ারি ২০১৯

বাগেরহাটে প্রচণ্ড শীতে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। বুধবার বিকেল পর্যন্ত বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুই শতাধিক রোগী।

জানা যায়, গত এক সপ্তাহে ঠান্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে শিশুসহ অন্তত এক হাজার রোগী ভর্তি হয়েছেন।

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের মধ্যে শিশু ও নারী বেশি। হাসপাতালে বেড সংকুলান না হওয়ায় রোগীদের ফ্লোরে জায়গা দিতে হচ্ছে। ভর্তি হওয়া রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সরা। এর মধ্যে অধিকাংশ রোগী ঠান্ডা লেগে শ্বাসকষ্ট, সর্দি-কাশি, জ্বর ও ডায়েরিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত। তবে এতে ভয় না পেয়ে সাবধানতা অবলম্বন করতে রোগীদের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

বাগেরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে রোগী ও তার স্বজনরা জানান, শীতে ঠান্ডা লেগে শ্বাসকষ্ট, সর্দি-কাশি ও জ্বর হচ্ছে। সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন তারা।

বাগেরহাট সদর উপজেলার ষাটগম্বুজ ইউনিয়নের শ্রীঘাট গ্রামের শিউলী বেগম তার আট মাস বয়সী ছেলে ইরফান খানকে ভর্তি করেছেন হাসপাতালে। তিনি বলেন, ঠান্ডা লেগে আমার ছেলের শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করেছি। সে এখন অনেকটা সুস্থ।

পাঁচ মাস বয়সী শিশু মারিয়াকে ভর্তি করেছেন মা রহিমা বেগম। তিনি বলেন, ঠান্ডা লেগে সর্দি-কাশির সঙ্গে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। তিনদিনে না কমায় শিশুকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছি। এখনো তার চিকিৎসা চলছে।

বাগেরহাট সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো. মশিউর রহমান বলেন, প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণে বুধবার বিকেল পর্যন্ত হাসপাতালে প্রায় দুই শতাধিক রোগী ভর্তি হয়েছেন।

তিনি বলেন, গত এক সপ্তাহে এক হাজার রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এসর রোগীর মধ্যে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। দিন দিন রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। এসব রোগীর চিকিৎসা দিতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে আমরা ভালো সেবা দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। ওষুধের কোনো সংকট নেই। সব ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রস্তুত রয়েছে। এসব রোগে ভয় না পেয়ে বরং সাবধানতা অবলম্বন করলে অনেকটা কমে যাবে বলেও জানান মেডিকেল অফিসার মো. মশিউর রহমান।

শওকত আলী বাবু/এএম/এমএস

আরও পড়ুন