গাইবান্ধায় বন্যায় ৪০ হাজার পরিবার পানিবন্দি
তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, ঘাঘট ও করতোয়াসহ অন্যান্য নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় গাইবান্ধার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। এতে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের ৪০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে বলে উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে ঘাঘট নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গা ও সর্বানন্দ ইউনিয়নের ২ হাজার পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। সর্বানন্দের ঘাঘট নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি পানির তীব্র স্রোতে যে কোনো মুহূর্তে ধসে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বন্যা কবলিত এলাকার আমনের বীজতলা, বর্ষালী ও আউশ ধান, পটল ও সবজি ক্ষেত তলিয়ে গেছে।
পানিবন্দি এলাকার লোকজন জানান, বন্যায় হাটু ও কোমর পানিতে ডুবে যাওয়ায় মাচা করে থাকতে হচ্ছে। খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও প্রাকৃতিক কাজকর্মের ক্ষেত্রে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে নারী ও শিশুরা চরম বিপাকে পড়েছেন।
এছাড়া সাঘাটা, ফুলছড়ি ও গাইবান্ধা সদর উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নও এখন বন্যা কবলিত। ফুলছড়ির সিংড়িয়ায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল হাই মিল্টন জানান, ঘরবাড়িতে পানি উঠায় তাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য জরুরি ভিত্তিতে ১৫টি ইউনিয়নে ১২টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এ সকল আশ্রয়কেন্দ্রে বন্যা কবলিত মানুষ এবং তাদের গবাদী পশুকেও আশ্রয় দেয়া হয়েছে। এ সকল বন্যা দুর্গত এলাকার জন্য আপাতত ৫ মে. টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ জানান, ইতোমধ্যে বন্যা দুর্গত এলাকার জন্য ১০ মে. টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবাহী প্রকৌশলী আব্দুল আউয়াল জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি ২৪ সে.মি. বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১০ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া করতোয়ার পানি ৫৯ সে. মি., ঘাঘট নদীর পানি ৪৮ সে. মি. বৃদ্ধি পেলেও এখনো ও দুটি নদীর পানি বিপদসীমার সামান্য নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি অপরিবর্তিত রয়েছে।
অমিত দাশ/এসএস/পিআর