ফুচকার সঙ্গে কীটনাশক খাইয়ে স্ত্রীকে হত্যা
ফুচকার সঙ্গে কীটনাশক মিশিয়ে খাইয়ে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে উম্মেহানী (২৪) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার সকালে উপজেলার বুরবুরিয়ারটেক এলাকায় বাবারবাড়ি থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত উম্মেহানী আড়াইহাজার উপজেলার ছনপাড়া এলাকার তুহিনের স্ত্রী। ঘটনার পর তুহিনকে গণপিটুনি দিয়ে এলাকাবাসী পুলিশে সোপর্দ করেছে। তিনি বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় মেয়েকে হত্যার অভিযোগ এনে নিহতের মা খোদেজা বেগম একটি হত্যা মামলা দয়ের করেছেন।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, পাঁচ বছর আগে ছনপাড়া এলাকার নুর ইসলামের ছেলে তুহিনের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় উম্মোহানীর। এরই মধ্যে তাদের সংসারে দুই সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু ৯ মাস আগে গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে করেন তুহিন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ দেখা দেয়।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে ২৮ ডিসেম্বর উম্মেহানীকে তার বাবার বাড়ি স্থানীয় বুরবুরিয়ারটেকে পাঠিয়ে দেয়া হয়। দাবিকৃত টাকা না দিলে তার সঙ্গে আর সংসার করা হবে না বলেও সাফ জানিয়ে দেন তুহিন। বৃহস্পতিবার বিকেলে তুহিন তার ছোট মেয়ে ইকরাকে চিকিৎসক দেখানোর নাম করে উম্মেহানীকে সঙ্গে নিয়ে ছনপাড়ায় নিয়ে আসেন। পরে রাতে তাকে ফুচকার সঙ্গে কীটনাশক জাতীয় পদার্থ মিশিয়ে খাইয়ে দেয়া হয়। এতে তার মৃত্যু হয়। পরে নিহত উম্মেহানীর মরদেহ বুরবুরিয়ারটেক তার বাবার বাড়ির উঠানে ফেলে পালানোর সময় তুহিনকে আটক করে এলাকাবাসী। পরে তাকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
আড়াইহাজার থানা পুলিশের এসআই হুমায়ুন জানান, ধারণা করা হচ্ছে খাবারের সঙ্গে বিষাক্ত কোনো পর্দাথ খাইয়ে উম্মেহানীকে হত্যা করা হয়েছে।
আড়াইহাজার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন বলেন, নিহতের মা বাদী হয়ে এই ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। নিহতের স্বামীকে পুলিশ প্রহরায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আরএআর/পিআর