বকেয়া আদায়ে মেয়র আরিফুলের অভিযান
হোল্ডিং ট্যাক্স, পানির বিল, ট্রেড লাইসেন্স ও বিল বোর্ড বাবদ বকেয়া বিল রয়েছে শত কোটি টাকা। এ বকেয়া বিল আদায়ে অভিযানে নেমেছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
বুধবার দুপুরে বকেয়া এসব বিল আদায়ে অভিযানে নামেন সিসিক মেয়র। সিসিকের তিনটি দলের একটির নেতৃত্ব দেন আরিফুল হক চৌধুরী।
সিসিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১০০ কোটি টাকা পরিমাণের বকেয়া বিল বার বার নোটিশ প্রদান সত্ত্বেও পরিশোধ না করায় বকেয়া আদায়ে বুধবার নগরের লালদিঘিরপাড়, কাস্টঘর এবং মহাজনপট্টি এলাকায় বেশ কয়েকটি দোকানে এ অভিযান চালানো হয়। বকেয়া বিলের মধ্যে হোল্ডিং ট্যাক্স খাতে বকেয়া প্রায় ৬৭ কোটি টাকা, পানির বিলের বকেয়া ১২ কোটি টাকা, ট্রেড লাইসেন্স বাবদ বকেয়া ২০ কোটি টাকা এবং বিল বোর্ড বাবত বকেয়ার পরিমাণ ১ কোটি টাকা।
অভিযান শুরুর আগে বকেয়া বিল আদায়ে সিসিক মেয়র আরিফ বারবার গ্রাহকদের নোটিশ এবং হুঁশিয়ারি দিলেও গ্রাহকরা সময়মতো বকেয়া বিল পরিশোধ না করায় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে তিনটি কমিটি। একটি কমিটির দায়িত্বে আছেন সিসিকের সচিব মো. বদরুল হক, আরেকটিতে সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান আর অন্যটিতে নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আকবর।
অভিযানের অংশ হিসেবে বকেয়া বিলের বিরুদ্ধে বুধবার নগরের লালদিঘিরপাড়, কাস্টঘর এবং মহাজনপট্টি এলাকায় বেশ কয়েকটি দোকানে মেয়র আরিফের নেতৃত্বে অভিযান চালায় সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমানের দল। এ সময় বিভিন্ন গ্রাহক এবং প্রতিষ্ঠানকে বকেয়া বিল দ্রুত পরিশোধের হুঁশিয়ারি দেয়া হয় এবং মহাজনপট্টির একটি দোকানের বকেয়া বিল বাকি থাকায় নগদ ২০ হাজার টাকা আদায় করা হয়।
অভিযান পরিচালনাকালে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, সিটি কর্পোরেশনের মূল আয়ের খাতে এতো বিশাল পরিমাণ বকেয়া থাকার কারণে সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়ন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। নগরবাসী নিয়মিত বকেয়া পরিশোধ করলে আমরা উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পারব।
তিনি বলেন, দ্রুত বকেয়া বিল পরিশোধ করা না হলে এখন থেকে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে জরিমানাসহ বকেয়া বিল আদায় করা হবে। পর্যায়ক্রমে নগরের ২৭টি ওয়ার্ডে এ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
ছামির মাহমুদ/এএম/এমএস