নোয়াখালীতে গণধর্ষণের ঘটনায় আরও একজন গ্রেফতার
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে রেখে এক নারীকে (৪০) গণধর্ষণের ঘটনায় করা মামলায় এজাহারভুক্ত আরও এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পার্শ্ববর্তী জেলা লক্ষ্মীপুর থেকে স্বপনকে (২৯) গ্রেফতার করা হয়। এর আগে পুলিশ বাসু ওরফে বাদশা আলম নামে একজনকে চরজাব্বার এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছিল।
চরজাব্বার থানার ওসি নিজাম উদ্দিন জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অন্যান্যদের গ্রেফতারেও পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার ইলিয়াছ শরীফ জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কোনো রমক ছাড় দেয়া হবে না। এজাহারনামীয় আসামিদের গ্রেফতারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেত্বত্বে জেলা গোয়েন্দা পুলিশসহ (ডিবি) বেশ কয়েকটি টিম ভাগ হয়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করছে। আসামিদের ধরার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কৃর্তপক্ষ থেকে কড়া নির্দেশ রয়েছে।
এদিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই নারীর স্বামী জানান, সন্ত্রাসীরা বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। এলাকায় গেলে দেখে নেবে বলছে।
প্রসঙ্গত, ৩০ ডিসেম্বর রোববার সকালে তিনি তার এলাকার ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে গেলে নৌকার কয়েকজন সমর্থক তাকে নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে বলেন। তিনি তখন ধানের শীষে ভোট দেয়ার কথা বললে তাদের সঙ্গে তর্কাতর্কি হয়। এ সময় তারা তাকে ‘তোর কপালে শনি আছে’ বলে হুমকি দেন। পরে তিনি কেন্দ্র থেকে দ্রুত বের হয়ে বাড়ি ফিরে যান।
এরপর রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে একই এলাকার ১০-১২ জন তাদের বাড়িতে এসে প্রথমে বসতঘর ভাঙচুর করে। এক পর্যায়ে তারা ঘরে ঢুকে তার স্বামীকে পিটিয়ে আহত করে। পরে স্বামী ও স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে (১২) বেঁধে রেখে তারা তাকে টেনে-হিঁচড়ে ঘরের বাইরে নিয়ে পিটিয়ে আহত করে এবং গণধর্ষণ করে। একপর্যায়ে তারা তাকে গলা কেটে হত্যার করতে উদ্যত হয়। এ সময় তিনি প্রাণ ভিক্ষা চাইলে তারা তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় বাড়ির উঠান সংলগ্ন পুকুর ঘাটে ফেলে চলে যায়।
এ ঘটনায় সোমবার রাত ৯টায় ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
মিজানুর রহমান/এফএ/পিআর