টাকা নিয়ে যুবলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা পুরাতন বাজারে পাওনা টাকা নিয়ে যুবলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে যুবলীগ নেতা আব্দুস সালাম ভুট্ট (৪৬) ও যুবলীগ নেতা আব্দুল মান্নান (৪৯) আহত হয়েছেন।
এ সময় গুলি বর্ষণ ও দোকান-পাট ভাঙচুর করা হয়। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত আব্দুস সালাম ভুট্ট উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত খেলাফত আলীর ছেলে ও আব্দুল মান্নান একই উপজেলার দর্শনা মোবারকপাড়ার আলী হোসেনের ছেলে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, দুপুরে দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ভুট্ট দর্শনা পুরাতন বাজারের কফি হাউসে বসে চা খাচ্ছিলেন। এ সময় ভুট্টর কাছে পাওনা টাকা চান যুবলীগ নেতা আব্দুল মান্নান। এতে ভুট্ট ক্ষিপ্ত হলে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়।
একপর্যায়ে ভুট্টকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে নিজ দোকান ঘরের ভেতর আটকে রেখে মারধর করেন আব্দুল মান্নান। কিছুক্ষণ পর ভুট্ট ও যুবলীগ নেতা আশরাফুল আলম বাবুর লোকজন আব্দুল মান্নানকে পিটিয়ে আহত করে।
এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে আব্দুল মান্নানের লোকজন একত্রিত হয়ে মিছিল সহকারে বাবুর দোকান ভাঙচুর ও তিন রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
দর্শনা পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আসলাম আলী তোতা বলেন, স্থানীয় কফি হাউসে আব্দুস সালাম ভুট্ট বসে চা খাচ্ছিল। এ সময় আব্দুল মান্নান তাকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে মারপিট করে। এরপর মান্নানসহ তার লোকজন এসে পৌর যুবলীগের সভাপতি বাবুর দোকান ভাঙচুর ও ৩ রাউন্ড গুলি ছোড়ে।
যুবলীগ নেতা আব্দুল মান্নান বলেন, কফি হাউসে বসে থাকার সময় ভুট্টর কাছে পাওনা টাকা চাইতে যাই। একপর্যায়ে ভুট্ট ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ওপর চড়াও হয়। এরপর আমি তাকে মোটরসাইকেলে উঠিয়ে নিজস্ব দোকান ঘরে বসিয়ে রাখি এবং অপর পাওনাদার পৌর যুবলীগের সভাপতি বাবুর কাছে টাকা চাই। এরপর ভুট্টর লোকজন আমাকে মারপিট করে আহত করে। খবর পেয়ে আমার লোকজন ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে।
দামুড়হুদা থানা পুলিশের ওসি সুকুমার বিশ্বাস বলেন, পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তবে গুলি বর্ষণ ও দোকান ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি।
সালাউদ্দিন কাজল/এএম/আরআইপি