বরিশালে বিএনপি প্রার্থীর বাড়িতে আমেরিকান দূতাবাসের ৫ সদস্য
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে বরিশাল-৫ (সদর-মহানগর) আসনে বিএনপি প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ারের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন আমেরিকান দূতাবাসের ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা পৌনে ১২টা পর্যন্ত নগরীর পশ্চিম কাউনিয়ায় সরোয়ারের বাসায় তারা বৈঠক করেন। প্রায় সোয়া ১ ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে প্রতিনিধি দলটি সরোয়ারের বাসা ত্যাগ করেন। তবে তারা এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি।
বৈঠকে নেতৃত্ব দেন ঢাকার আমেরিকান দূতাবাসের প্রোগ্রাম অফিসের প্রোজেক্ট ডিজাইন টিম লিডার জেসন গিলপিন।
বরিশাল-৫ (সদর-মহানগর) আসনে বিএনপির প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সবশেষ পরিস্থিতি জানতে আমেরিকান দূতাবাসের ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলটি তার বাসায় এসেছিলেন। নির্বচনের সার্বিক পরিস্থিতি তাদেরকে জানানো হয়েছে।
বিএনপির প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, ইন্টারনেটে ভাইরাল হওয়া গত ২৬ ডিসেম্বর প্রচারণা শেষে স্পিডবোটে ফিরে আসার সময় তার একমাত্র কর্মীকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার ভিডিও সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তারা। আমি তাদের ঘটনাটি বিস্তারিত জানাই।
এছাড়া প্রচারণার এই কয়েক দিনে ২ শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যারাই আমার সঙ্গে প্রচারণায় আংশ নিয়েছে তাদেরই মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করছে পুলিশ। গত দু’দিন ধরে আমার বাসা ঘেরাও রেখেছে পুলিশ। আমার পোলিং এজেন্ট হতে আজ বিএনপির ২ জন নেতা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে বাসায় এসেছিলেন। আমার বাসার সামনে থেকে ওই দুই নেতাকেও আটক করা হয়।
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার আমার এপিএস অ্যাডভোকেট মামুনকে আটক করা হয়। তার কাছে আমার গাড়িরসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিল। সেটাও দেয়নি পুলিশ।
বিএনপির প্রার্থী সরোয়ার বলেন, বিগত সিটি নির্বাচনের মতো ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা কেন্দ্র দখল, আগে থেকেই ব্যালটে সিল মারার প্রস্তুতি এবং ভোটারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোটকেন্দ্রে না যেতে ক্ষমতাসীনদের হুমকির বিষয়ে তাদের অবহিত করা হয়েছে। তারা সব কথা মনযোগ দিয়ে শুনেছেন।
আমেরিকান দূতাবাসের ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলটি এসব বিষয় নিয়ে বরিশাল-৫ (সদর-মহানগর) আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী কর্নেল (অবঃ) জাহিদ ফারুক শামিমের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন। পাশাপাশি আগামীকাল তারা বরিশালের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন বলেও জানিয়েছেন।
এদিকে মুঠোফোনে টিম লিডার জেসন গিলপিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নির্বাচন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে তারা বরিশাল এসেছেন। পর্যবেক্ষণ শেষে তারা চলে যাবেন। এর বেশি কিছু বলতে তিনি রাজি হননি।
সাইফ আমীন/এফএ/পিআর