বাড়ি ছেড়ে জঙ্গলে বিএনপি নেতাকর্মীরা
নির্বাচন ঘিরে কয়েক দিন ধরে পুলিশের হয়রানি-গ্রেফতার এবং ক্ষমতাসীনদের হামলা ও মামলা আতঙ্কে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ অবস্থায় মৌলভীবাজারের বিএনপির নেতাকর্মীরা পালিয়ে অবস্থান নিয়েছেন হাওর এবং জঙ্গলে। অনেক নেতাকর্মী রাত কাটাচ্ছেন বনে-জঙ্গলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দিনের বেলায় বিচ্ছিন্নভাবে বিএনপির কোনো কেনো নেতাকর্মী গণসংযোগে অংশ নিলেও রাতের বেলায় বাড়িতে যান না। বাড়ির পাশের ফসলের মাঠ, গাছের তলা, হাওর এবং জঙ্গলে রাত কাটান তারা। অনেক বিএনপি নেতা তাদের কর্মীদের নিয়ে রাত কাটাচ্ছেন বিভিন্ন হাওরে। গ্রেফতার আতঙ্কে জঙ্গলে থাকেন কেউ কেউ।
মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে মাঠে নামতে পারেননি বিএনপির নেতাকর্মীরা। এরপরও বিভিন্ন হামলা-মামলায় তাদের অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বিএনপি নেতাকর্মীদের অভিযোগ, সরকারের নির্দেশে তাদেরকে বিভিন্ন মিথ্যা এবং গায়েবি মামলায় হয়রানি করছে পুলিশ। শত শত নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ফলে পালিয়ে বেড়াচ্ছে তারা। এরই মধ্যে অনেক নেতাকর্মী হাওর ও জঙ্গলে রাত কাটাচ্ছে। তাদের লক্ষ্য যেভাবেই হোক নির্বাচনের দিন পর্যন্ত গ্রেফতার এড়িয়ে যাওয়া। তবে ভোটের দিন কেন্দ্রে উপস্থিত থাকবে বিএনপির এসব নেতাকর্মীরা।
মৌলভীবাজার যুবদলের সভাপতি জাকির হোসেন উজ্জল বলেন, পুলিশের ভয়ে গতকাল রাতেও প্রায় ৩০ জন সঙ্গী নিয়ে হাওরে রাত কাটিয়েছি। সারা জেলায় কয়েক হাজার নেতাকর্মীর পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। তবে এই অবস্থা ভোটের দিন থেকে থাকবে না। ভোটের দিন আমরা মাঠে থাকার জন্যই গ্রেফতারের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি।
এ বিষয়ে মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ভিপি মিজানুর রহমান বলেন, মিথ্যা এবং গায়েবি মামলার কারণে পুলিশের ভয়ে নেতাকর্মীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। অনেক নেতাকর্মী বাড়িছাড়া। পালিয়ে বেড়াচ্ছে বনে-জঙ্গলে।
তিনি বলেন, এমন নির্বাচন আর মামলা আমার জীবনে দেখিনি। একটি স্বাধীন দেশে গণগ্রেফতার এড়াতে সাধারণ মানুষ এভাবে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে যা দুঃখজনক। যত হামলা-মামলা হোক, নেতাকর্মী ভোটের দিন মাঠে থাকবে।
এ বিষয়ে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ সুপার শাহ জালাল জাগো নিউজকে বলেন, অযথা কাউকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। যাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে, ওয়ারেন্ট আছে তাদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। পালিয়ে থাকা অপরাধীদের খুঁজছে পুলিশ।
রিপন দে/এএম/জেআইএম