প্রচারণায় হামলা, কারাবন্দি বিএনপি প্রার্থীর স্ত্রী আইসিইউতে
গাজীপুর-৫ আসনের কারাবন্দি ধানের শীষের প্রার্থী ফজলুল হক মিলনের স্ত্রী শম্পা হকের ওপর আবারও সন্ত্রাসী হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
হামলায় শম্পা হকসহ কমপক্ষে ১০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে শম্পা হককে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালের আইসিইউতে এবং বাকিদের স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের চারজনই নারী।
সোমবার দুপুরে কালিগঞ্জ থানার মূল ফটকে আওয়ামী লীগের উচ্ছৃঙ্খল কর্মীবাহিনী এ হামলার ঘটনা ঘটায়। এ সময় হামলাকারীরা নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত দুটি গাড়ি ভাঙচুর করেছে। থানা ফটকে এমন সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটলেও এ সময় কোনো ভূমিকা নেয়নি পুলিশ।
শম্পা হকের এক আত্মীয় সাংবাদিকদের জানান, সোমবার দুপুরের দিকে দুটি গাড়ি নিয়ে কয়েকজন নারী ও পুরুষকর্মী নিয়ে কালিগঞ্জ থানায় ফজলুল হকের একটি বন্দুক জমা দিতে বতুর্লের নিজ বাড়ি থেকে রওনা হয় শম্পা হক।
সকালে যেতে চাইলে কালিগঞ্জ থানার ওসি শম্পা হককে দুপুরের পর যেতে বলে। পরে শম্পা হক দুপুরে কালিগঞ্জ থানার মূল ফটকে গিয়ে পৌঁছলে সেখানে আগ থেকে লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান করা সরকারদলীয় উচ্ছৃঙ্খল কর্মী গাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়।
হামলাকারীরা শম্পা হকসহ কর্মীদের গাড়ি থেকে টেনেহিঁচড়ে নামিয়ে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে। লাঠির আঘাতে শম্পা হকসহ অন্তত ১০ জন গুরুতর আহত হয়। একপর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে শম্পা হক মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
হামলাকারীরা নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত দুটি গাড়ি ব্যাপক ভাঙচুর করে। এ সময় ভাঙচুর ও হামলার স্থির চিত্রধারণের সময় শামীম আহাম্মেদ নামে স্থানীয় একজন সাংবাদিককেও পিটিয়ে আহত করে সন্ত্রাসীরা।
এর আগে থানা থেকে ১০০ গজ পশ্চিমে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শম্পা হক প্রথম দফায় সন্ত্রাসী হামলার কবলে পড়েন। এর আগেও গাজীপুর-৫ আসনের নির্বাচনী এলাকার বিভিন্নস্থানে বিভিন্ন সময়ে নির্বাচনী প্রচার চালানোর সময় শম্পা হকের ওপর আরও কয়েক বার হামলার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর উল্টো নাগরি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি রুবেল শেখ ওসমান ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক জামান মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ।
কালিগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি আবু বক্কর মিয়া জানান, হামলার ঘটনা সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। শম্পা হক এজমা ও হার্টের রোগী। থানায় এসে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে গেলে নিজেই অ্যাম্বুলেন্স ডেকে ঢাকায় যান।
এএম/এমএস