বিএনপি নেতা আটক, নেতাকর্মীদের থানা ঘেরাও
চাঁদপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সলিম উল্যাহ সেলিমকে পুলিশ আটক করলে তাকে ছাড়াতে থানায় যান একই আসনের বিএনপির প্রার্থী শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক।
কিছুক্ষণ পর বিএনপি প্রার্থী শেখ ফরিদ আহমেদ মানিককে আটক করা হয়েছে বলে সর্বত্র খবর ছড়িয়ে পড়ে। এ খবরে বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী চাঁদপুর মডেল থানা ঘেরাও করেন। সেই সঙ্গে থানার ভেতরে-বাইরে অবস্থান নেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
দুই ঘণ্টা থানায় অবস্থান শেষে সোমবার বেলা ২টার দিকে শেখ ফরিদ উদ্দিন মানিক নেতাকর্মীদের থানা এলাকা ছাড়তে বললে মিছিল নিয়ে চলে যান নেতাকর্মীরা।
পথিমধ্যে শহরের বেগম মসজিদ এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপির মিছিলে হামলা করে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১০ নেতাকর্মী আহত হন। পরে পুলিশ, বিজিবি ও র্যাব এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিএনপি প্রার্থী শেখ ফরিদ আহমেদ নেতাকর্মী নিয়ে প্রচারণায় নামলে পুলিশ ও বিজিবি ঘেরাও করে সেখান থেকে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম উল্লাহ সেলিমকে আটক করে। এ আটককে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, থানা ঘেরাও শেষে বিএনপি নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে শহরের বেগম মসজিদ এলাকায় পৌঁছালে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা করে। এতে দুই পক্ষের সংঘর্ষ বাঁধে। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বিএনপি প্রার্থী মানিকের বাসার গেট ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ, বিজিবি ও র্যাব এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিএনপির প্রার্থী শেখ ফরিদ উদ্দিন মানিক বলেন, নির্বাচন যাতে না করতে পারি সেজন্য একের পর এক আমার নেতাকর্মীদের আটক করছে পুলিশ। প্রচারণা থেকে আমার নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম উল্লাহ সেলিমকে আটক করে পুলিশ। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এ নিয়ে থানায় অবস্থান নেয় আমাদের নেতাকর্মীরা। আমার নির্দেশে নেতাকর্মীরা থানা থেকে যখন ফিরে আসছিল তখন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর পুলিশের সহযোগিতায় হামলা চালায়। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশের ওসি নাসির উদ্দিন কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তিনি জানিয়েছেন আটক বিএনপি নেতা সেলিমের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।
ইকরাম চৌধুরী/এএম/এমকেএইচ