লক্ষ্মীপুরে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে এ্যানিসহ আহত ৩৫
লক্ষ্মীপুরে নির্বাচনী গণসংযোগকালে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ধানের শীষের প্রার্থী বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ উভয়পক্ষের ৩৩ জন আহত হয়েছেন। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে পুলিশেরও দুই সদস্য আহত হয়েছেন।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার শান্তিরহাট এলাকায় বিএনপি প্রার্থী এ্যানি নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে গেলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
অন্য আহতরা হলেন- জেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া, যুবদল নেতা বদরুল আলম শ্যামল, মামুন, সৈকত, বরকতউল্লা, জাহিদ, আবদুল খালেকসহ ২১ জন। তাদের সদর হাসপাতালসহ শহরের বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। তবে যুবলীগের বাধায় আহত বরকতউল্লাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি নেয়া হয়নি। আওয়ামী লীগের আহত নেতাকর্মীরা হলেন- জুয়েল, রাছেল, আরিফ, ইউছুফ ও সিরাজসহ ১২ জন।
এ ঘটনার পর কুশাখালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নাসির উদ্দিনের বাড়ি ও বাজারের দোকানঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে।
আহত শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, সকালে নির্বাচনী গণসংযোগকালে পুলিশের উপস্থিতিতে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা ও অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় অন্তত ২১ জন আহত হন। হাসপাতালে আহতরা গেলে তাদের ঘেরাও করা হয়। আমরা অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতার দাবি জানাই।
কুশাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন বলেন, এ্যানি তার দলবল নিয়ে হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আহত করে।
চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে। এ সময় পুলিশ পরিদর্শক মফিজ ও উপ-পরিদর্শক রাজ্জাক আহত হন। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছয়জনকে আটক করা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আনোয়ার হোসেন বলেন, এ্যানিসহ বেশ কয়েকজন আহত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছেন। তাদের চিকিৎসা চলছে। এ্যানিকে এক্স-রেসহ কয়েকটি পরীক্ষা দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
কাজল কায়েস/আরএআর/এমকেএইচ