ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

রাজশাহীতে সড়কের বেহাল দশা

প্রকাশিত: ০৪:৫৯ এএম, ২২ আগস্ট ২০১৫

রাজশাহী নগরীর অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোর এখন বেহাল দশা। গ্যাস ও পানি সংযোগের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো দুই বছর ধরে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বেড়েছে সীমাহীন জনদুর্ভোগ। প্রায় দুই বছরের বেশি সময় ধরে দুর্ভোগে রয়েছেন নগরবাসী।

একদিকে সড়ক ও ড্রেন সংস্কারের নামে অপরিকল্পিতভাবে কাজ শুরু করায় পুরো নগরীজুড়ে কাদামাটিতে একাকার, অন্যদিকে সড়কের মাঝে মাঝে গ্যাসের জন্য খোঁড়া গর্তে আটকে আছে চলাচলের গতি। এরই মধ্যে চরম বিড়ম্বনা ও দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছেন নগরীর বাসিন্দারা।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০১৩ সাল থেকে গ্যাস সংযোগের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সংস্কারের নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে ২ কোটি টাকা আদায় করেছে রাসিক। ওয়াসার পানির লাইন দিতেও গ্রাহকদের রশিদ ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। এভাবে সড়ক সংস্কারের টাকা লুটপাটের কারণে রাজশাহীতে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে নগরবাসীর মধ্যে।



রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান ক্ষোভ প্রকাশ করে জাগো নিউজকে বলেন, উন্নয়ন কাজের জন্য রাস্তা খোঁড়াখুড়ি করতে হয়। তবে কাজ শেষে সেই সড়ক মেরামতের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দায়বদ্ধ। সেইভাবে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নেয়া হয়। অথচ রাজশাহীতে গ্রাহকের সেই টাকা লুটপাট করা হয়েছে। এ কারণে নগরবাসী দুই বছর ধরে সীমাহীন দুর্ভোগ বয়ে বেড়াচ্ছেন।  

নগরীতে বসবাসকারী ঠিকাদার ইয়াহিয়া সরকার জানান, এখন শহরে রিকশায় চলাচল দায় হয়ে গেছে। রিকশা কিংবা অটোরিকশা চালকরা প্রতিনিয়ত পড়ছেন বিপাকে। রাস্তা খারাপের অজুহাতে বেশি ভাড়াও আদায় করছেন তারা।

এদিকে, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) ড্রেন নির্মাণে ব্যাপক অনিয়োমের অভিযোগ উঠেছে। রাসিক সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে ৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬৬ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণের কাজ মাঝপথে আটকে আছে। একাধিক ঠিকাদারদের মাধ্যমে এই ড্রেন নির্মাণের কাজ করছে রাসিক। এছাড়া কয়েকটি সড়ক চারলেনে উন্নীতকরণের কাজেও চলছে গোঁজামিল।



এসকল কাজ করতে গিয়ে পুরো নগরী এখন খানাখন্দে ভরে গেছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না হওয়ায় বর্ষায় তা আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। কোনো সড়কের ওপর মাটির স্তুপ, কোথাও কোথাও পুকুরের মতো গর্ত করে রাখা হয়েছে। এ সকল স্থানে বাসা বেঁধেছে মশার দল। আর শহরের নোংরা আবর্জনাও জমা হচ্ছে এ সকল গর্তে। ফলে ক্রমেই দুর্গন্ধ ছড়াছে। নগরীর উপশহরের প্রধান সড়কটি একই কারণে বন্ধ রয়েছে প্রায় দুই মাস ধরে। অন্য সকল এলাকার একই চিত্র।

এ সকল বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে রাজশাহী সিটি কর্পোশেনের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র নিযাম উল আজিম জাগো নিউজকে জানান, নগরীতে উন্নয়ন কাজ করতে গিয়ে কোনো কোনো এলাকায় নগরবাসী দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। অচিরেই এ সকল সমস্যার স্থায়ী একটা সমাধান হবে। আর গ্যাসের জন্য রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির বিষয়ে তিনি বলেন, এগুলোরও সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে।

শাহরিয়ার অনতু/এসএস/এমএস