নেতাকর্মীদের আদালতে রেখে পালালেন বিএনপি প্রার্থী
সরকারি কাজে বাধার মামলায় বুধবার গাজীপুর আদালতে হাজিরা দিয়ে পালিয়ে গিয়ে গ্রেফতার এড়ালেন গাজীপুর-২ আসনের বিএনপির প্রার্থী সালাহউদ্দিন সরকারসহ ২৪ নেতাকর্মী।
তবে ১২ জন আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে গাজীপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামিমা খাতুন তাদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন এবং পলাতকদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
গাজীপুর আদালতের পরিদর্শক মো. রবিউল ইসলাম বলেন, তারা সবাই গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার (২০১৪ সালে সরকারি কাজে বাধা প্রদানের) একটি মামলার আসামি ছিলেন। ইতোপূর্বে তারা আদালত থেকে পুলিশ রিপোর্ট (চার্জশিট) প্রদান পর্যন্ত জামিনে ছিলেন। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তারা সবাই বৃহস্পতিবার সকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে হাজিরা দিয়ে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। পরে আদালতের বিচারক প্রথম পর্বের শুনানির পর বিকেলে দ্বিতীয় দফা শুনানির ঘোষণা দিয়ে আদালত থেকে নেমে যান।
রবিউল ইসলাম আরও বলেন, আদালতের দ্বিতীয় দফায় ১২ জন হাজির হলেও অন্যরা পালিয়ে যান। পরে বিচারক আদালতে উপস্থিত সাবেক গাজীপুর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সিরাজুল হক মোল্লা, গাজীপুর মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বশির আহম্মদ, গাজীপুর মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সিটি কাউন্সিলর তানভীর আহমেদ, গাজীপুর মহানগর সদর থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. খায়রুল আলম, মহানগর মহিলা দলের সভাপতি শিরিন চাকলাদার, মহানগর যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাইফুল ইসলাম টুটুল, জেলা শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক কালিম লস্কর, মহানগরের ২৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুর রশিদ, মহানগর বিএনপির নেতা ইজাদর রহমান, কামরুল ইসলাম ও মো. রিপনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং পলাতকদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
গাজীপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, এ মামলায় সবাই চার্জশিট দেয়া পর্যন্ত জামিনে ছিলেন। কিন্তু নির্বাচনকে সামনে রেখে পুলিশ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ঘটনার প্রায় ৫ বছর পর এ চার্জশিট দেয়। যাতে বিএনপির নেতাকর্মীরা কারাগারে থাকে, সেই সঙ্গে নির্বাচনী প্রাচারে অংশ নিতে না পারে।
মো. আমিনুল ইসলাম/এএম/এমকেএইচ