কালা বাহিনী আতঙ্কে জেগে আছে এলাকাবাসী
মাদারীপুর জেলার শিবচরের বিভিন্ন গ্রামে ‘কালা বাহিনী’ আতঙ্ক বিরাজ করছে। এই আতঙ্কে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে রাত জেগে পাহারার ব্যবস্থা করেছে স্থানীয়রা।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ-খবর নিয়ে জানা গেছে, কালা বাহিনী নামে একদল ডাকাত বিভিন্ন গ্রামে প্রায়ই হানা দিচ্ছে। ডাকাতির পাশাপাশি নারীদের উপর নির্যাতন করছে বলে অনেকে জানায়।
তবে শিবচর থানা পুলিশ জানিয়েছে এ ধরনের কোনো ঘটনার অভিযোগ শিবচর থানায় এখনো আসেনি। ‘কালা বাহিনী’ আতঙ্ক পুরোটাই গুজব বলে জানিয়েছে উপজেলা পুলিশ প্রশাসন। তবে চুরি-ডাকাতি রোধে সাধারণ মানুষদের সচেতন থাকার পাশাপাশি উপজেলায় সাধারণ মানুষের মধ্য থেকে এই আতঙ্ক দূর করতে পুলিশি টহল বাড়ানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, গত মাসে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা, সদরপুর, ফরিদপুর সদরসহ বিভিন্ন উপজেলায় এই ডাকাত আতঙ্ক বিরাজ করছিল। বিশেষ করে ভাঙ্গা উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের মধ্যে এই আতঙ্ক বেশি ছিল। মানুষের মুখে মুখে এই ‘কালা বাহিনী’ আতঙ্ক এখন বিভিন্নস্থানে ছড়িয়ে পড়েছে। আর আতঙ্কিত হচ্ছে গ্রামের সাধারণ মানুষেরা।
শিবচর উপজেলার নিলখী, দত্তপাড়া, শিরুয়াইল, ভান্ডারীকান্দি, শিবচর ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকায় রাত জেগে স্থানীয়রা পাহারা দিচ্ছে এই ডাকাত আতঙ্কে। রাত নয়টার পরই খালি হয়ে যাচ্ছে গ্রাম এলাকার বাজারগুলো।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব এলাকার অধিকাংশ পরিবার ঘরের ভেতর রাত জেগে কাটাচ্ছে। কেউ বা আবার পালাক্রমে রাত জাগছে।
গত কয়েকদিন আগে উপজেলার নিলখী ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী শিড়খাড়া এলাকা থেকে ডাকাতিকালে আটজনকে আটক করে পুলিশ ও স্থানীয়রা। তাছাড়া ওই ঘটনার আগেই নিলখী বন্দোর এলাকায় ডাকাতি এবং নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করে স্থানীয়রা।
এ ধরনের খবর লোকমুখে ছড়িয়ে পড়ায় গ্রামের সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক চরম আকার ধারণ করেছে বলে জানা গেছে।
শিবচর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সাত্তার মিঞা বলেন, কালা বাহিনী আতঙ্ক সাধারণ মানুষের মাঝে বিরাজ করছে শুনেছি। আমরা উপজেলার প্রত্যেকটি পুলিশ ফাঁড়িকে রাত্রিকালীন টহল বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছি। সাধারণ মানুষের মাঝ থেকে ভীতি দূর করার জন্য আমরা জনসচেতনতামূলক সভার আয়োজন করেছি গ্রামে গ্রামে। কালা বাহিনী একটা গুজব। তবে চুরি-ডাকাতি রোধে সাধারণ মানুষকে আমরা সচেতন করছি এবং কোনো অপ্রীতিকর ঘটনায় পুলিশকে দ্রুত জানানোর জন্য বলা হচ্ছে।
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান আহমেদ বলেন, আমরা এবিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ এখনো পাইনি। তবে পুলিশ প্রশাসনকে বলা হয়েছে। প্রয়োজন হলে গ্রামে গ্রামে গিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে তাদের এই ভীতি দূর করা হবে।
এ কে এম নাসিরুল হক/ এমএএস/এমএস