গোপালগঞ্জে খরাসহিষ্ণু আউশ ধানের পরীক্ষামূলক আবাদ
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত ব্রি ধান ৪৩ বোনা আগাম ও খরাসহিষ্ণু আউশ ধানের পরীক্ষামূলক আবাদ শুরু হয়েছে। টুঙ্গিপাড়া উপজেলার নিলফা গ্রামের রইচ শেখের জমিতে এ ধানের আবাদ করা হয়।
কৃষকদের এ জাতের ধান চাষে উদ্বুদ্ধ করতে আনুষ্ঠানিকভাবে ধান কাটা ও মাড়াই করে এর উৎপাদনের পরিমাণ দেখা হয়েছে। এ উপলক্ষে সেখানে অনুষ্ঠিত হয় মাঠ দিবস।
মাঠ দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড.সমীর কুমার গোস্বামী। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের ফরিদপুরের ভাঙ্গা আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রধান ড. মোহাম্মদ আমির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. মো. মনিরুজ্জামান, ব্রি ভাঙ্গা কার্যালয়ের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কাজী মো. তারেক আজিজ, কৃষক রইচ শেখ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এসময় স্থানীয় কৃষক ও এলাকার গণ্যমান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের ফরিদপুরের ভাঙ্গা আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রধান ড. মোহাম্মদ আমির হোসেন বলেন, ব্রি ধান ৪৩ বোনা আউশ ধানের একটি জাত। এটি একটি আগাম ও খরাসহিষ্ণু জাত। তিনভাবে বীজ বোনা যায়- ছিটিয়ে, সারি করে এবং ডিবলিং পদ্ধতিতে। ব্রি ধান-৪৩ দেশের খরাপ্রবণ এলাকায় বপণযোগ্য ধান। জাতটির জীবনকাল মাত্র ১০০ দিন। উপযুক্ত পরিচর্যা পেলে ব্রি ধান ৪৩ হেক্টর প্রতি ৩.৫ টন ফলন দিয়ে থাকে।
গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড.সমীর কুমার গোস্বামী বলেন, এ জাতের ধান এ অঞ্চলের কৃষকের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটাবে। এ জাতের ধান কাটার পর কৃষকরা অন্য ফসল ফলাতে পারবেন। তিনি এ জাতের আউশ ধান চাষের জন্য কৃষকদেরকে এগিয়ে আসতে বলেন।
এ জাতের ধান চাষী নিলফা গ্রামের কৃষক রইচ শেখ জানান, তিনি তার ১৩ কাঠা জমিতে এ জাতের ধান চাষ করে প্রচণ্ড খরা থাকা সত্ত্বেও ভালো ফলন পেয়েছি। অন্য জাতের হলে ফলন ভালো হতো না। তিনি আগামী বছর আরো বেশি পরিমাণ জমিতে এ জাতের ধানের চাষ করবেন এবং এলাকার অন্য কৃষকদেরকেও এ জাতের ধানের চাষ করার জন্য আহ্বান জানান।
এস এম হুমায়ুন কবীর/এমজেড/এমএস