আমি ধমক দিলে নারায়ণগঞ্জে বিএনপি থাকবে না : শামীম ওসমান
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেন, বিএনপি নির্বাচন সফল করতে নির্বাচনে আসেনি। তারা বিভিন্নস্থানে বিএনপির ভালো ব্যক্তিদের প্রার্থী না দিয়ে জঙ্গি মতবাদের প্রার্থীকে মনোনয়ন দিচ্ছে। তারা দেশে জঙ্গির আস্থানা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন। তাদের স্বপ্ন কখনও পূরণ হবে না। তবে আমার মনে হচ্ছে নির্বাচনের আগ মুহূর্তে তারা এমন কোনো ঘটনা ঘটিয়ে নির্বাচনকে বানচাল করার চেষ্টা করবে।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা হতে রাত ৮টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার বক্তাবলী ইউনিয়নে নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগের সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আমার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বিএনপি যাকে প্রার্থী হিসেবে দিয়েছে তাকে আমি নিজেই চিনি না। জনগণ তাকে কীভাবে চিনবেন এবং কীভাবে ভোট দেবেন। নির্বাচন করা তাদের উদ্দেশ্য নয়। তাদের যদি নির্বাচন করার ইচ্ছা থাকতো তাহলে আমার এলাকায় বিএনপির এতো নেতা থাকতে একজন জঙ্গি মতবাদের প্রার্থীকে মনোনয়ন দিতেন না। তাদের যে উদ্দেশ্যই থাকুক না কেন জনগণ তাদেরকে রুখে দাঁড়াবে। জনগণ এত কাঁচা না, জনগণ নিজের ভালো মন্দটা নিজেরা বুঝেন।
শামীম ওসসান আরও বলেন, আমি শামীম ওসমান আমার কোনো গুন্ডা পাণ্ডা প্রয়োজন নেই। আমি শামীম ওসমান যদি ধমক দেই তাহলে নারায়ণগঞ্জে কোনো বিএনপি থাকবে না। আমার সেই ক্ষমতা আছে। কিন্তু আমি ধমকের রাজনীতি করি না। আমি ভালো মানুষ নিয়ে রাজনীতি করতে চাই।
এদিকে শামীম ওসমান বক্তাবলীর রাধানগর লেংটার মেলায় গিয়ে লেংটা সোলয়মান শাহ'র মাজারে গিয়ে জিয়ারত করেন এবং তার ভক্তদের কাছে নৌকা প্রতীকে ভোট চান। আর লেংটার মাজারে গিয়ে ভক্ত পাগলদের সঙ্গে কুশল মিনিময়ও করেন।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় বক্তাবলীর রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক স্কুলমাঠে গণসংযোগ ও আলোচনা সভা করেন। সেখান থেকে শেষ করে কানাইনগর ছোবহানিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ মাঠে গণসংযোগ করেন। দুপুরে রাধানগর পূর্বপাড়া ঈদগাহ মাঠে গণসংযোগ করেন। পরে এখানে শেষ করে ছমির নগর মাদরাসা মাঠে গণসংযোগ করেন। সন্ধ্যার পর চরগরকুল আনন্দ বাজার সংলগ্ন প্রাথমিক স্কুল মাঠে গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হয়। রাত ৮টায় পূর্ব গোপাল নগরে শামীম ওসমান গণসংযোগ করেন।
শামীম ওসমানের গণসংযোগকালে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদল, সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলী, বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আফাজ উদ্দিন ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল মিয়া, জেলা পরিষদের সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা তাঁতী লীগের সাধারণ সস্পাদক ভিপি আলমগীর প্রমুখ।
শাহাদাত/এমএএস/এমএস