ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

গণধোলাইয়ে ২ ডাকাত নিহত : মামলা দায়ের

প্রকাশিত: ০৮:২৫ এএম, ২০ আগস্ট ২০১৫

নরসিংদীর মনোহরদীতে সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি ও গণধোলাইয়ে দুই ডাকাত নিহতের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মনোহরদী থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সজল কান্তি পাল বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা কয়েকশ গ্রামবাসীকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা ও পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে একটি ডাকাতির মামলা দায়ের করেন।  

বুধবার রাত ১০টার দিকে জেলার মনোহরদী উপজেলার গণ্ডারদিয়া সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির সময় গ্রামবাসীর গণধোলাইয়ে দুই কুখ্যাত ডাকাত নিহত হন। আহত হন আমিনুল নামের আরো এক ডাকাত। নিহত ডাকাত আমজাদ মিয়া শিবপুরের ধানুয়া গ্রামের মিলন মিয়ার ছেলে ও নিহত অপর ডাকাত ফারুক মিয়া মনোহরদীর গোতাশিয়া গ্রামের আবু সাইদের ছেলে। নিহত ও আহত ডাকাতদের বিরুদ্ধে শিবপুর, মনোহরদী, বেলাবো ও রায়পুরা থানায় খুন-ডাকাতির একাধিক মামলা রয়েছে।

পুলিশ জানায়, বুধবার রাত ১০টার দিকে একটি প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস নিয়ে ১০/১২ জনের একটি ডাকাত দল মনোহরদী উপজেলার গণ্ডারদিয়া সড়কে গাছ ফেলে সিএনজি ও বাসে ডাকাতি শুরু করে। এলকাবাসী বিষয়টি বুঝতে পেরে মসজিদের মাইকে ডাকাত প্রতিরোধ করার ঘোষণা দেন। এসময় এলাকাবাসী সংঘবদ্ধ হয়ে চারপাশ থেকে ডাকাতদের ঘিরে ফেলেন।

ডাকাতরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালালে গ্রামবাসী প্রাইভেটকারসহ ৩ ডাকাতকে ধরে গণধোলাই দেন। এতে ঘটনাস্থলেই আমজাদ মিয়া ও ফারুক মিয়া নামে দুই ডাকাত মারা যান। এসময় ডকাত সর্দার রাজ্জাক ও সহযোগী মোশারফসহ অন্য ডাকাতরা মাইক্রোবাস নিয়ে পালিয়ে গেলেও উত্তেজিত গ্রামবাসী ডাকাতদের ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকারে আগুন ধরিয়ে দেন।

এসব ঘটনায় মনোহরদী থানায় পৃথক দুটি আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত ডাকাতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

মনোহরদী থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সজল কান্তি পাল জাগো নিউজকে বলেন, নিহত ও আহত ডাকাতদের বিরুদ্ধে কয়েকটি থানায় খুন-ডাকাতির একাধিক মামলা রয়েছে।

মনোহরদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আলমঙ্গীর হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, উপ-পরিদর্শক সজল কান্তি পাল বাদী হয়ে অঞ্জাতনামা কয়েকশ গ্রামবাসীকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা ও পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করা হয়। এদের মধ্যে ডাকাত আমিনুলকে গ্রেফতার করা হয়।

সঞ্জিত সাহা/এমজেড/পিআর