পাবনায় আ.লীগের দুই পক্ষের গোলাগুলিতে নিহত ২
পাবনা সদর উপজেলার ভাঁড়ারায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলিতে দুজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। আহতরা সবাই গুলিবিদ্ধ বলে জানা গেছে।
সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে সুলতান খাঁ ও আক্কাস গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। আক্কাস ভাঁড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আবু সাইদ খানের অনুসারী।
নিহতরা হলেন- সদর উপজেলার ভাঁড়ারা ইউনিয়নের ভাঁড়ারা গ্রামের মৃত গহের খাঁর ছেলে লস্কর খাঁ (৬৫) এবং ভাউডাঙ্গা গ্রামের মৃত আহেদ আলীর ছেলে মালেক শেখ (৪৭)। নিহতরা সুলতান গ্রুপের বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পাবনা সদর থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) জালাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ওই এলাকায় আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সুলতান গ্রুপ ও আক্কাস গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে সন্ধ্যায় উভয়পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে লস্কর খাঁ ও মালেক শেখ নিহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংঘর্ষের সময় দুই পক্ষই আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে। এ সময় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এলাকায় গ্রামবাসীদের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন এবং আহতদের সবাই পুলিশি ঝামেলা এড়াতে অজ্ঞাত স্থানে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
ভাঁড়াড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আবু সাইদ খান জানান, আক্কাস গ্রুপের লোকজন আওয়ামী লীগ সমর্থক হলেও সুলতান ও তার লোকজন কখনই আওয়ামী লীগ করেনি। তারা জাসদ করে। সুতরাং সংঘর্ষে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপ বলা যাবে না।
এদিকে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হাসান শাহিন জানান, আক্কাস ভাঁড়ারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং সুলতান কিছুদিন আগে আওয়ামী লীগে তার কর্মী সমর্থকদের নিয়ে যোগদান করেছেন।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইবনে মিজান জানান, এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
একে জামান/আরএআর/এমএস