ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

কাদের সিদ্দিকীসহ ১৪ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল

জেলা প্রতিনিধি | টাঙ্গাইল | প্রকাশিত: ০৫:১৪ পিএম, ০২ ডিসেম্বর ২০১৮

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইলের-৮ আসনের ১৪টি মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। ঋণ খেলাপির অভিযোগে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আবদুল কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম এর টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) ও টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনে দাখিল করা মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তিনি ঋণ খেলাপি থাকায় প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হয়নি।

এছাড়াও ঋণ খেলাপির অভিযোগে টাঙ্গাইল-১ (ধনবাড়ী-মধুপুর) আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ফকির মাহাবুব আনাম স্বপন ও টাঙ্গাইল ৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনের বিএপির প্রার্থী নুর মোহাম্মদ খানের মনোনয়নপত্রও বাতিল করা হয়েছে।

রোববার দুপুরে মনোনয়নপত্র বাচাই ও শুনানি শেষে কাদের সিদ্দিকীসহ ১৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম।

এছাড়া ঋণ খেলাপির অভিযোগে যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে তারা হলেন, টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের এনপিপির প্রার্থী মো. চাঁন মিয়া ও বিএনএফ'র আতাউর রহমান খান, টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. বাকির আলী ও আবুল কাশেম, টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনের বিএনএফ প্রার্থী মো. সুলতান মাহমুদ ও এনপিপি প্রার্থী মামুনুর রহমান, টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের খেলাফত মজলিস প্রার্থী মজিবর রহমান, টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনের জাতীয় পাটি প্রার্থী কাজী আশরাফ সিদ্দিকী, খেলাফত মজলিস প্রার্থী আব্দুল লতিফ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী শহীদুল ইসলাম।

তবে এই আদেশের বিরুদ্ধে কাদের সিদ্দিকীর নির্বাচন কমিশনে আপিল করার সুযোগ রয়েছে। সেখানেও যদি তিনি স্বপক্ষে আদেশ না পেলে উচ্চ আদালতেও যেতে পারবেন বলেও জানা গেছে।

মনোনয়নপত্র বাতিলের প্রতিবাদে ঐক্যফ্রন্টের শরিক কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবদুল কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম জানান, যতক্ষণ পর্যন্ত আমার বোন এর সরকার থাকবে আমার মনে হয় সেই পর্যন্ত আমাকে তারা নির্বাচন করতে দেবে না। তবে আমি চাই নির্বাচনটা ভালো হোক। আমার সংগ্রাম হলো, ভোটার যেন ভোট দিতে পারে। এখন যে কুশাসন চলছে এ শাসন ভালো না। নির্বাচনে বর্তমান সরকার ২০টা সিট পাবে। যদি আমার দেশপ্রেম সত্য হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনের সংসদ সদস্য শওকত মোমেন শাহজাহানের মৃত্যুর পর শূন্য ওই আসনের উপ-নির্বাচনেও ঋণ খেলাপির কারণে তার প্রার্থিতা বাতিল হয়। পরবর্তীতে উচ্চ আদালতেও তার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছিল। একই অভিযোগে ২০১৫ সালের ১৩ অক্টোবর টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের উপ-নির্বাচনেও কাদের সিদ্দিকী ও তার স্ত্রী নাসরিন কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছিল।

তৎকালীন সময়ে ওই মনোনয়ন বাতিল প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশন জানায়, সোনার বাংলা প্রকৌশলী সংস্থার নামে অগ্রণী ব্যাংকে ১০ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ঋণ রয়েছে। কাদের সিদ্দিকী ওই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান আর তার স্ত্রী নাসরিন কাদের সিদ্দিকী পরিচালক।

আরিফ উর রহমান টগর/এমএএস/পিআর