রংপুর বিভাগে ভোটার বেড়েছে পৌনে ১৩ লাখ
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর বিভাগে ভোটারের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় পৌনে ১৩ লাখ। এদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও তরুণ। রংপুর জেলায় নারী ভোটারের সংখ্যা বাড়লেও মোট ভোটারের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে দিনাজপুর জেলা।
রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসের সূত্র মতে, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর বিভাগের আট জেলায় মোট ভোটার ছিল ১ কোটি ৩ লাখ ১১ হাজার ৪০৮ জন। আর আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ১৫ লাখ ৮৫ হাজার ২৬৪ জন। সে অনুযায়ী এবার রংপুর বিভাগে ভোটার বেড়েছে ১২ লাখ ৭৩ হাজার ৮৫৬ জন।
এরমধ্যে রংপুর জেলায় মোট ভোটার ছিল ১৯ লাখ ২০ হাজার ৭৯২ জন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩৭৫ জন। পঞ্চগড়ে গত নির্বাচনে ভোটার ছিল ৬ লাখ ১৫ হাজার ৭৯৮ জন। এ বছর মোট ভোটারের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭ লাখ ১৩ হাজার ৬৪৮ জন। ঠাকুরগাঁওয়ে ছিল ৮ লাখ ৭৬ হাজার ৮০৮ জন। এ বছর মোট ভোটারের সংখ্যা ৯ লাখ ৯৫ হাজার ১৭৬ জন। দিনাজপুরে গত নির্বাচনে ভোটার ছিল ১৯ লাখ ৬৭ হাজার ২৩১ জন। এ বছর মোট ভোটার ২২ লাখ ৬ হাজার ৪৪০ জন। নীলফামারীতে ছিল ১১ লাখ ৪৮ হাজার ৭২৬ জন। আর এবছর ১২ লাখ ৮৮ হাজার ৬১৮ জন। লালমনিরহাটে ছিল ৮ লাখ ২ হাজার ৪৮৪ জন, এ বছর হয়েছে ৯ লাখ ১৫ হাজার ৭৮৮ জন। কুড়িগ্রামে ছিল ১৩ লাখ ৭৫ হাজার ১৪০ জন। এবার হয়েছে ১৫ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭৪ জন। এছাড়া গাইবান্ধা জেলায় গত নির্বাচনে ভোটার ছিল ১৬ লাখ ৪ হাজার ৪২৯ জন। এ বছর মোট ভোটারের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৭ লাখ ৮৪ হাজার ৫৪৫ জন।
নির্বাচন অফিসের দেয়া তথ্যমতে, হালনাগাদ ভোটার তালিকা অনুযায়ী রংপুর জেলায় পুরুষ ভোটার সংখ্যা ১০ লাখ ৫৯ হাজার ৭৫৮ এবং নারী ভোটার ১০ লাখ ৭৪ হাজার ৬১৭ জন। অর্থাৎ পুরুষ ভোটারের তুলনায় নারী ভোটার ১৪ হাজার ৪৫৯ জন বেশি। এবার নারী ভোটারের সংখ্যা বেড়েছে। যার বেশিরভাগই রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার ভোটার।
রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জিএম সাহাতাব উদ্দিন বলেন, ইতোমধ্যে নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন কাজ শুরু করেছে। আশা করি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সকল আয়োজন সম্পন্ন হবে।
তিনি আরও বলেন, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন দলের প্রার্থী ও সমর্থকরা নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন। প্রার্থীদের কাছে প্রত্যাশা থাকবে যেন প্রতীক বরাদ্দের পর নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে তারা প্রচারণা কার্যক্রম শুরু করেন।
জিতু কবীর/এফএ/জেআইএম