ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

যাদের একাধিক জন্মতারিখ তারা ক্রিমিনাল : সিইসি

প্রকাশিত: ০৫:৩০ পিএম, ১৮ আগস্ট ২০১৫

যাদের একাধিক জন্মতারিখ তারা ক্রিমিনাল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদ। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সিলেট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম-২০১৫’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

জেলা প্রশাসন ও আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সিইসি আরো বলেন, ‘দু’টি বা তিনটি জন্মতারিখ রাখা ভালো নয়। এটা রাখে ক্রিমিনালরা। যখনই জাতীয় পরিচয় পত্র করা হবে তখনই সঠিক জন্মতারিখ দিতে হবে। কোনো ভূয়া জন্মতারিখ দিয়ে ভোটার হওয়া যাবে না।’

ভুয়া জন্মতারিখ দিয়ে যাতে কেউ জাতীয় পরিচয় পত্র না করতে পারে সে জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দেন তিনি। সিইসি বলেন, ‘কেউ যদি ভুয়া জন্মতারিখ দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরি করে, তা হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

শিশুদের জন্মের পর ডাটা সংগ্রহ করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘উন্নত দেশের মতো আমরাও শিশুর জন্মের পর যাতে ডাটা তৈরি করতে পারি সেই লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। শিগগিরই সেই কার্যক্রম হাতে নেয়া হবে। এছাড়াও ওই শিশু ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত ভোটার হতে পারবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ১৮ বছর হলে অটোমেটিকই ভোটার হয়ে যাবে।’

কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদ আরো বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম থেকে একজন ভোটারও যাতে বাদ না পড়ে-সেদিকে সকলকে খেয়াল রাখতে হবে। ভোটার তালিকায় নারীদের বেশি করে নিবন্ধনের ওপর জোর দিয়ে সিইসি বলেন, দেশে জনসংখ্যার অর্ধেকই নারী, নারীরা পিছিয়ে পড়লে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব হবে না।


বক্তব্যের শুরুতেই সিইসি বলেন, ‘ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। এ জন্য আমারা বিভিন্ন পর্যায়ে সভা করেছি। তাতে অনেক অগ্রগতিও হয়েছে।’ ভোটার আইডি কার্ডে ভুল করা যাবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘১৮ বছর না হলে ভোটার লিস্টে ঢোকানো যাবে না।’

তিনি বলেন, ‘প্রথম দিকে ভোটার হালনাগাদ করতে একটু সমস্যা হয়েছে। ছবিগুলো খারাপ হয়েছে। কিন্তু এখন আর তা হবে না। এখন ডিজিটাল মেশিন আনা হয়েছে।’ ভোটার স্থানান্তরের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘স্থানান্তর কোনো জটিল বিষয় নয়। এটি করতে হলে একটি আবেদন করতে হবে। এরপর শুধু নাম-ঠিকানা ঠিক আছে কি-না তা যাচাই করেই স্থানান্তর করে দেয়া হয়।’

সার্ভার স্টেশন প্রসঙ্গে সিইসি প্রধান বলেন, ‘সার্ভার স্টেশনগুলো অল কমপ্লিট। সকল যন্ত্রপাতি হয়ে গেছে। তবে সার্ভার স্টেশনগুলোতে যাতে কেউ অযথা ঢুকতে না পারে সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করে সেটা চালু করা হবে।’ ঢাকার গিয়ে আর ভিড় করা লাগবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক উপজেলায়ই সার্ভার স্টেশন থেকে সেই সেবা নেয়া যাবে।’

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মো. জামাল উদ্দিন আহমেদ ও আইডিয়া প্রকল্পের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সুলতানুজ্জামান মো. সাহেল উদ্দিন।

আলোচনায় অংশ নেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মো. মিজানুর রহমান, পুলিশ কমিশনার কামরুল আহসান, জেলা প্রশাসক মো. জয়নাল আবেদীন, মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, সিলেট অঞ্চলিক নির্বাচন অফিসের উপ-কমিশনার এমএস এজহারুল হক, ও সিলেটের পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা প্রমুখ।

ছামির মাহমুদ/বিএ