নরসিংদীতে সংঘর্ষের ঘটনায় মিলল আরও দুইজনের লাশ
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চরাঞ্চল বাঁশগাড়ী ও নীলক্ষায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত আরও দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রায়পুরা উপজেলার নীলক্ষা ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামের তীরবর্তী মেঘনা নদী থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন- বাশঁগাড়ী ইউপি সদস্য জয়নাল মেম্বারের ছেলে কাউসার (৩২) ও একই গ্রামের আব্দুল হাই (৩৫)। এনিয়ে ওই সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা ছয়জনে দাঁড়ালো।
রায়পুরা থানা পুলিশের ওসি (অপারেশন) মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, মেঘনা নদী থেকে দুইটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের সময় প্রতিপক্ষরা তাদের হত্যার পর মরদেহ নদীতে ফেলে দিয়েছিল।
উল্লেখ্য, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বাঁশগাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি প্রয়াত হাফিজুর রহমান সাহেদ সরকারের সমর্থক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য ও সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত সিরাজুল হকের সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় দুই পক্ষের মধ্যে হামলা ও পাল্টা হামলায় চেয়ারম্যান সিরাজুল হকসহ একাধিক নিহতের ঘটনা ঘটেছে। এরই জের ধরে গত ১৬ নভেম্বর শুক্রবার সকালে বাঁশগাড়ী গ্রামের বালুমাঠ এলাকায় বর্তমান চেয়ারম্যান আশরাফুল হক ও প্রয়াত হাফিজুর রহমান সাহেদ সরকারের সমর্থক জামাল, জাকির ও সুমনের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এতে ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী তোফায়েল রানা নিহত হয়। পরে দুপুরে এই সংঘর্ষ পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন নীলক্ষায় বিবাধমান দুইটি গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের সময় প্রতিপক্ষ একাধিক ব্যক্তিকে হত্যার পর মরদেহ নদীতে ফেলে দেয়। ওই সময় তৎক্ষণিক চার জন নিহত হয়। আহত হয় কমপক্ষে অর্ধশতাধিক।
ঘটনার ৭দিন পর বৃহস্পতিবার বিকেলে গোপিনাথপুর মেঘনা নদী তীরবর্তী এলাকায় দুইজনের মরদেহ ভেসে উঠতে দেখে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতেদের মরদেহ উদ্ধার করে।
এদিকে এ ঘটনায় রায়পুরা থানায় দুইটি হত্যা মামলা ও অস্ত্র আইনে আরও দুইটি মামলাসহ মোট ৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ১৩ জনকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সঞ্জিত সাহা/আরএআর/পিআর