অন্যের সঙ্গে সংসার করছেন ‘গুম’ হওয়া জান্নাত
১৫ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যার পর গুমের অভিযোগে মামলার ঘানি টানছেন ফুলগাজী উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন মজুমদার রিপনসহ তার পরিবারের সদস্যরা। অথচ সেই স্ত্রী বিবি মরিয়ম জান্নাত (২০) চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলায় অন্য এক যুবকের সঙ্গে দিব্যি ঘর-সংসার করছেন। বৃহস্পতিবার রাতে মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে জান্নাতকে উদ্ধার করেছে ফুলগাজী থানা পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের ২৩ জুলাই ৮ লাখ টাকা দেনমোহরে ছাগলনাইয়া থানার জয়নগর গ্রামের পাটোয়ারী বাড়ির মরহুম মোশাররফ হোসেনের বড় মেয়ে বিবি মরিয়ম জান্নাতের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী ফুলগাজী উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের হাজী আবদুস সোবহানের ছেলে ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন মজুমদার রিপনের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। সম্প্রতি ফেসবুকে চাঁদপুরের কচুয়ার ব্যবসায়ী মো. আবিরের সঙ্গে পরিচয় হয় জান্নাতের। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ৮ অক্টোবর বিকেলে সবার অজান্তে ১৬ লাখ টাকা ও ২২ ভরি স্বর্ণ নিয়ে পালিয়ে যান জান্নাত। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে না পেয়ে রিপনের পরিবার বিষয়টি পুলিশ সুপারকে অবহিত করে।
পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের এএসআই মো. আবদুল মতিন উভয় পরিবারকে ২১ অক্টোবর সকাল ১০টায় হাজির থাকার নির্দেশ দেন। কিন্তু জান্নাতের পরিবার হাজির না হয়ে উল্টো ১৭ অক্টোবর হত্যা করে লাশ গুমের অভিযোগ এনে ফুলগাজী থানায় মামলা দায়ের করে। মামলায় ইসমাইল হোসেন মজুমদার রিপন, তার বাবা হাজী আবদুস সোবহান মজুমদার, মা সামছুন নাহার ও নিকট আত্মীয় মো. মহিউদ্দিন মজুমদার সোহাগকে আসামি করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ মো. মহিউদ্দিন মজুমদার সোহাগকে গ্রেফতার করে। অন্য আসামিরা হাইকোর্ট থেকে জামিনে রয়েছেন।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে ফুলগাজী থানার এসআই অনাবিক চাকমার নেতৃত্বে পুলিশ চাঁদপুরের কচুয়া থেকে জান্নাতকে উদ্ধার করেছে।
ফুলগাজী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কুতুব উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মামলার ২৯দিন পর জান্নাতকে চাঁদপুরের কচুয়া থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
রাশেদুল হাসান/আরএআর/পিআর