আমাকে মন্ত্রী করা হয়েছিল আমি হই নাই : শামীম ওসমান
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, আমি মানুষের জন্য কাজ করে মানুষকে খুশি করে আল্লাহকে খুশি করতে চাই। রাজনীতি একটা ইবাদত।
রাস্তা-ঘাট, পুল-কালভার্ট ও ডিএনডির পানি নিষ্কাশন- এ কাজগুলো আমি করেছি। আমার টার্গেট এটা না। আমার শরীর যদি হয় বাংলাদেশ তবে ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ হচ্ছে আমার হৃদপিন্ড। আমি যদি এবার নির্বাচিত হই তবে আমি এই হৃদপিন্ডটাকে হাতিরঝিলের থেকেও বেশি উন্নত করে সাজাবো। যেন মানুষ আমার এলাকাকে দেখতে আসে।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জে নির্বাচনী গণসংযোগকালে তিনি এসব কথা বলেন। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের (নাসিক) ৩ নং ওয়ার্ডের আদর্শনগর, নিমাইকাশারী ও নয়াআটি মুক্তিনগর এলাকায় গণসংযোগ করেন শামীম ওসমান।
তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ এখন রকেটের মতো উপরের দিকে ওঠছে। যদি কোনো ভুল সিদ্ধান্ত হয় তাহলে তা মুখ থুবড়ে পড়ে যাবে। আর উঠতে পারবে না। আমি আশা করি আপনারা সবাই জ্ঞানী মানুষ, আপনারা ঈমান নিয়ে যেটা সঠিক সেটা করবেন। আপনারা আমার কর্মকাণ্ড সম্পর্কে খবর নেবেন, আরেকজনের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে খবর নিবেন। আমরা কী কাজ করেছি তার লিস্ট যতটুকু পারি খতিয়ান আমরা টাঙিয়ে দেবো। লিফলেট দেবো। বড় বড় পোস্টারে লাগিয়ে দেবো। আরেকজনকে বলেন তুমি কী কাজ করেছো তা দাও।
শামীম ওসমান বলেন, আমার জীবনে এমপি হওয়াটা ব্যাপার না। আমার দাদা এমপি ছিলো দুইবার। বাবা এমপি ছিলো দুইবার। বড় ভাই এমপি ছিল চারবার। আরেক ভাই এমপি একবার। আমি এমপি দুইবার। আমার এক মায়ের তিন ছেলে আমরা এমপি হয়েছি। এমপি হওয়াটা আমাদের কাছে বড় ব্যাপার না। আমাকে মন্ত্রী করা হয়েছিলো আমি মন্ত্রী হই নাই।
তিনি আরও বলেন, আমি অন্তর দিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ-ফতুল্লায় কাজ করেছি। কে এমপি হলো না হলো আমার কিছু আসে যায় না। কারণ আমি সমাজে প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু এই সমাজের নাইনটি ফাইভ পার্সেন্ট মানুষের আসে যায়। কারণ, যদি এমপি ভালো না হয়। জনপ্রতিনিধি ভালো না হয়। ওই এলাকায় সন্ত্রাস হয়, মাদক ব্যবসা হয়। জনপ্রতিনিধি যদি ভালো না হয়, তাহলে ওই এলাকার উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড হয় না। সুতরাং এটা আপনার চয়েজ আপনি কী করবেন।
শামীম ওসমান বলেন, আমি ভণ্ডামি কইরা ভোট নেবো না। পরিষ্কার কথা, আমি আল্লাহকে ভয় পাই। টাকার বিনিময়ে ভোট কিনমু না। কারণ প্রবলেম আমার না, প্রবলেম আপনার। আপনার বাচ্চার ভবিষ্যত আপনাকেই ঠিক করতে হবে। আপনাকে ভাবতে হবে কোন বাংলাদেশ চান আপনি। আফগানিস্তান মার্কা নাকি সিঙ্গাপুর-মালয়েশিয়ার চেয়েও উন্নত বাংলাদেশ চান? এটা আপনার চয়েজ।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, সিদ্ধিরগঞ্জ পৌরসভার সাবেক পৌর প্রশাসক আব্দুল মতিন প্রধান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মিয়া, প্রচার সম্পাদক তাজিম বাবু, নাসিক প্যানেল মেয়র মতিউর রহমান মতি, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হক নিপু, কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল, আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুব হোসেন, জেলা যুবলীগের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক সহ-সম্পাদক হাজী সুমন কাজী, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনূল হক ভূইয়া রাজু, যুবলীগ নেতা তোফায়েল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
হোসেন চিশতী সিপলু/আরএআর/পিআর