রেস্টুরেন্টে ফ্রিজভর্তি অতিথি পাখির মাংস
সিলেট নগরের বহুল পরিচিত পাঁচভাই রেস্টুরেন্টে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ জবাই করা অতিথি পাখি ও পরিযায়ী পাখির মাংস জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ সময় রেস্টুরেন্টের দুই ব্যবস্থাপককে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে যৌথভাবে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে খাবারের সঙ্গে অতিথি পাখি অবৈধভাবে বিক্রি ও সংরক্ষণের অভিযোগে পাঁচভাই রেস্টুরেন্টের দুই ব্যবস্থাপককে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন- আব্দুল আওয়াল ও কাউসার আহমদ।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে অভিযানে নামে র্যাব-৯, সিলেট জেলা প্রশাসন এবং বন বিভাগ। অভিযানে নেতৃত্ব দেন সিলেট জেলা প্রশাসনের এনডিসি মো. হেলাল চৌধুরী, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলম, র্যাব-৯-এর সিনিয়র এএসপি মাঈন উদ্দিন চৌধুরী ও বন বিভাগের রেঞ্জার মো. দেলোয়ার রহমান।
অভিযানে সহযোগিতা করেন- বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন-বাপা সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ছামির মাহমুদ ও বাপার সংগঠক বদর চৌধুরী।
অভিযানের সময় পাঁচভাই রেস্টুরেন্টের ফ্রিজে সংরক্ষণ করা ২৫টি অতিথি পাখি, ২৯টি সাদা ও কানি বক ও আটটি বালিহাঁস এবং রান্না করা আরও ৩৯টি পাখির মাংস জব্দ করা হয়।
পরে অবৈধভাবে পাখি বিক্রির অভিযোগে দুইজনকে গ্রেফতার করে কোতোয়ালি থানায় সোপর্দ করা হয়। গ্রেফতার দুইজনসহ রেস্টুরেন্ট মালিকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়।
জেলা প্রশাসনের এনডিসি মো. হেলাল চৌধুরী বলেন, এরা অতিথি পাখি জবাই ও রান্না করে বিক্রি করে বন্যপ্রাণি সংরক্ষণে অপরাধ করেছেন। তাই শুধু জরিমানা করে তাদের ছেড়ে দেয়া যায় না। থানায় মামলা দিয়ে বিচারিক প্রক্রিয়ায় তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
এ বিষয়ে বাপা সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম বলেন, পাঁচভাই রেস্টুরেন্টে অবৈধভাবে পাখি বিক্রির অভিযোগটি দীর্ঘদিনের। ৮-১০ দিন আগে বিষয়টি বন বিভাগকে জানাই। কিন্তু আইনি কিছু বিধি-নিষেধের কারণে এতে সম্পৃক্ত হয় র্যাব-৯ ও জেলা প্রশাসন। সর্বশেষ মঙ্গলবার ক্রেতা সেজে পাখি রেস্টুরেন্টে আছে বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে প্রশাসনকে নিয়ে অভিযান চালানো হয়। সিলেটের একটি জনপ্রিয় রেস্টুরেন্ট যদি অবৈধভাবে পাখি বিক্রি করে এবং সাধারণ মানুষও তা গ্রহণ করে তাহলে তো পাখি শিকারিরা উৎসাহিত হবে। এ ব্যাপারে আমাদের আরও সচেতন হওয়া উচিত।
ছামির মাহমুদ/এএম/এমএস