আগে বিচার, পরে দেশে ফিরব
মিয়ানমারে সংঘটিত রোহিঙ্গা নির্যাতনের কথা শুনলেন জাতিসংঘ মহাসচিবের রোহিঙ্গা সংকটবিষয়ক বিশেষ দূত ক্রিস্টিন এস বার্গনার।
শনিবার দুপুরে টেকনাফ নয়াপাড়া নিবন্ধিত শরণার্থী শিবিরের পাশে এলপিজি ওয়ারহাউস ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টারের একটি কক্ষে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে রোহিঙ্গদের মুখে নির্যাতনের কথা শোনেন তিনি।
মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত পরিস্থিতি মূল্যায়ন করতে কক্সবাজার টেকনাফের শালবাগান শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেন ক্রিস্টিন। এ সময় ৯ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। পরিদর্শনকালে জোর করে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে না বলে রোহিঙ্গাদের আশ্বাস দিয়েছেন জাতিসংঘের এই বিশেষ দূত।
পরিদর্শনকালে জাতিসংঘের বিশেষ দূত ক্রিস্টিন এস বার্গনার টেকনাফ নয়াপাড়া অনিবন্ধিত শালবাগান ডেভেলপমেন্ট কমিটির নারী চেয়ারম্যান রমিদা বেগমসহ ৯ রোহিঙ্গা নেতা ছিলেন। এ সময় জাতিসংঘের বিশেষ দূত রোহিঙ্গা নারী-পুরুষদের সঙ্গে কথা বলেন এবং মিয়ানমারের পরিস্থিতি তাদের কাছে তুলে ধরেন।
বৈঠক শেষে ক্রিস্টিন এস বার্গনার সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেনি। এর আগে শনিবার সকালে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক হয়ে তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আসেন।
ক্রিস্টিন এস বার্গনারের সঙ্গে বৈঠকে মিয়ানমারের নির্যাতনের কথা তুলে ধরেন টেকনাফ শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চেয়ারম্যান রমিদা বেগম।
তিনি বলেন, মিয়ানমারের সেনারা রোহিঙ্গাদের নির্মূল করতে পরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ড চালায়। এ কারণে প্রাণে বাঁচতে সে দেশ থেকে আমরা এদেশে পালিয়ে আসি। আমরা জাতিসংঘের বিশেষ দূত ক্রিস্টিন এস বার্গনারকে বলেছি, আগে এসব নির্যাতনের বিচার চাই। এরপর আমরা সে দেশে ফেরত যাব। নির্যাতনের বিচারের বিষয়ে ক্রিস্টিন এস বার্গনার আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, এ হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে।
সায়ীদ আলমগীর/এএম/পিআর