পাঁচ দফা দাবিতে কওমি ছাত্র-শিক্ষকদের সড়ক অবরোধ
মাওলানা সাদ কন্ধলভি সমর্থকদের সঙ্গে কওমি মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকদের সংঘর্ষের পর এবার পাঁচ দফা দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরে সড়ক অবরোধ করেছেন কওমি মাদরাসা ছাত্র-শিক্ষকরা।
শনিবার দুপুর ১২টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত শহরের টি এ রোডে অবস্থান নিয়ে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন তারা। অবরোধের কারণে শহরের প্রধান এ সড়কটিতে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এতে করে দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ।
ছাত্র-শিক্ষকদের পাঁচ দফা দাবিগুলো হলো- ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাওলানা সাদ কন্ধলভি সমর্থকদের প্রধান নেতা মাওলানা আনিসুর রহমানকে গ্রেফতার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল কবিরকে প্রত্যাহার, সাদ কন্ধলভি সমর্থকদের সরিয়ে মার্কাস মসজিদ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ওলামাদের হাতে তুলে দেয়া, সংঘর্ষে আহতদের সুচিকিৎসার জন্য ক্ষতিপূরণ দেয়া এবং যারা কওমি ছাত্র-শিক্ষকদের উপর হামলা করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা হেফাজতে ইসলামের প্রচার সম্পাদক মুফতি এনামুল হাসান জাগো নিউজকে বলেন, কওমি মাদরাসা ছাত্র ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে অবরোধ কর্মসূচি পালিত হলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বেশ কয়েকটি মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকরা অঘোষিতভাবেই মাঠে নেমে পড়েছেন। বিকেলে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আমরা বৈঠকে বসবো। যদি আমাদের দাবি না মানা হয় তাহলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ আলমগীর কবির জাগো নিউজকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনা করছি। আমরা তাদেরকে বলেছি বিষয়গুলো দেখা হবে। সবকিছু বিচার-বিশ্লেষণ করেই আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলা শহরের বিরাসার এলাকার মার্কাস মসজিদে প্রবেশ নিয়ে মাওলানা সাদ কন্ধলভি ও কওমি মাদরাসা ছাত্র-শিক্ষকদের সংঘর্ষ বাধে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। পরে সদর মডেল থানা পুলিশ ও র্যাবের ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষ থামাতে কয়েক রাউন্ড টিয়ার গ্যাসও ছোড়া হয়।
আজিজুল সঞ্চয়/এমএএস/পিআর