হানিফের বাসচালককে আ.লীগ কর্মীদের গণধোলাই
ঠাকুরগাঁওয়ে হানিফ এন্টারপ্রাইজের একটি বাসের চালককে গণধোলাই ও টিকিট কাউন্টারে তালা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ কর্মী ও সাধারণ জনতা।
বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় ঠাকুরগাঁও জেলা শহরের নরেশ চৌহান সড়কের হানিফ টিকিট কাউন্টারে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, পঞ্চগড়ের এমপি অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজনের স্ত্রী ও পরিবারের লোকজন মঙ্গলবার রাতে ঢাকা থেকে হানিফ এন্টাপ্রাইজের এসি গাড়িতে ঠাকুরগাঁওয়ের উদ্দেশে রওনা হয়। রাস্তায় অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজনের স্ত্রীর ডায়বেটিস থাকায় প্রাকৃতিক চাপ আসে। পরে বিষয়টি গাড়ির সুপারভাইজারকে জানানো হলে তিনি চালক হুমায়ুনকে নির্দিষ্ট স্থানে গাড়িটি থামাতে বলেন।
এ সময় চালক নারীদের উদ্দেশ্য করে খারাপ ভাষায় কথা বলেন ও গালিগালাজ করেন। পরে এমপির পরিচয় দিলে চালক আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তারপরও চালক গাড়ি না থামিয়ে তার মতো করে ঠাকুরগাঁওয়ে পৌঁছান।
এ ঘটনায় এমপি সুজনের স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন ও বিষয়টি মুঠোফোনে বাসায় জানান। পরে ঠাকুরগাঁও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও এমপির ভাগিনা এ্যাপোলোকে বিষয়টি জানানো হলে এ্যাপোলো হানিফ কাউন্টারের ম্যানেজার নারায়ন চন্দ্রকে ওই চালকের নামে বিচার দিতে টিকিট কাউন্টারে আসেন।
এ সময় আওয়ামী লীগের কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে হানিফ কাউন্টারে তালা ঝুলিয়ে দেয়। পরে উপায় না পেয়ে কয়েক ঘণ্টা পর চালককে কাউন্টারে নিয়ে আসে কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু টিকিট কাউন্টারে নেয়ার আগেই উত্তেজিত জনতা তাকে গণধোলাই দেয়। পরে কাউন্টারে বসে থাকা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা জনতার হাত থেকে চালককে উদ্ধার করে কাউন্টারের ভেতরে নিয়ে যান।
এ সময় শ্রমিক নেতারা শাস্তি হিসেবে ওই চালককে চড় থাপ্পড় মারেন ও ম্যানেজার নারায়ন চন্দ্রসহ দুজনকেই নুরুল ইসলাম সুজনের স্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাওয়ান।
এ বিষয়ে হানিফ কাউন্টারের ম্যানেজার নারায়ন চন্দ্রের কাছে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, আমরা বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছি। এটা নিয়ে আর বাড়াবেন না। এটা একটা ভুল বোঝাবুঝি ছিল মাত্র।
রবিউল এহসান রিপন/এফএ/জেআইএম