বাদী ও পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ
কুষ্টিয়ায় মিথ্যা মামলা দায়েরের অভিযোগে মামলার বাদী ও মামলা রেকর্ডকারী সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় কুষ্টিয়ার বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ অরূপ কুমার গোস্বামী সংশ্লিষ্ট আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটকে এই নির্দেশ প্রদান করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, দৌলতপুর উপজেলার চরসালিমপুর গ্রামের মৃত পঞ্চানন ওরফে পঞ্চানন্দ কর্মকারের স্ত্রী সুচিত্রা কর্মকারকে তার ছেলে শ্রী সুশান্ত কর্মকার ও পুত্রবধূ সুবর্ণা কর্মকার ঠিকমতো খাবার না দিয়ে গালমন্দ করতো এবং বিষ খেয়ে কিংবা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করার জন্য প্ররোচনা দিয়েছেন। এমন অভিযোগে নিহতের ভাইয়ের ছেলে চিত্তরঞ্জন কর্মকার বাদী হয়ে নিহতের পূত্র ও পূত্রবধূর বিরুদ্ধে দৌলতপুর থানায় মামলা করেন।
আদালতের এই আদেশের সত্যতা নিশ্চিত করে সরকারি কৌশলী অনুপ কুমার নন্দী জানান, মাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে পুত্র ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে দৌলতপুর থানায় দায়েরকৃত মামলা তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। বিজ্ঞ আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে প্রতিয়মান হয় যে, মামলাটি মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এ কারণে মিথ্যা মামলা দায়ের করে ওই মামলার আসামিদের যে ভোগান্তি দেয়া হয়েছে তার একটা ন্যায় ও সুবিচার হোক।
মঙ্গলবার আদালত এই রায় ঘোষণার সময় মামলার আসামিদ্বয় শ্রী সুশান্ত কর্মকার ও স্ত্রী সুবর্ণা কর্মকারকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন একই সঙ্গে এজাহারকারী শ্রী চিত্তরঞ্জন কর্মকার ও দৌলতপুর থানার তৎকালীন মামলা রেকর্ডকারী পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটকে। এ ঘটনার মধ্যদিয়ে আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে মিথ্যা মামলা দায়েরকারী এবং সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের সতর্ক বার্তা দিতে চেয়েছেন বিজ্ঞ আদালত।
আল মামুন সাগর/এমএএস/পিআর