অপার সম্ভাবনাময় পর্যটন কেন্দ্র মুহুরী রেগুলেটর
ফেনীর সোনাগাজীর মুহুরী প্রজেক্ট পর্যটন শিল্পের এক অপার সম্ভাবনাময় স্থান। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ সেচ প্রকল্প দীর্ঘদিন থেকে জেলার অন্যতম পর্যটন স্থান হিসেবে পরিচিত। এটিকে ঢেলে সাজালে পর্যটন শিল্প আরও সমৃদ্ধ হবে।
বঙ্গোপসাগরের উপকূলে এ এলাকায় চিত্তাকর্ষক নৈসর্গিক শোভা ও মনোমুগ্ধকর অসংখ্য দৃশ্য বিদ্যমান। ভৌগলিক ও অর্থনৈতিক দিক দিয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এই এলাকাটি অপার সম্ভাবনাময় এলাকা হিসেবে গুরুত্ব বহন করে।
প্রায় ২শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৯৮২ সালে নির্মিত মুহুরী সেচ প্রকল্পের ৪০ গেট বিশিষ্ট রেগুলেটর ও ক্লোজার ড্যামটি দেখতেও বেশ আকর্ষণীয়। এছাড়া নদীর পাড়ে সবুজ বনানী ঘেরা মায়াবী পরিবেশ। শীতকালে অতিথি পাখির আগমন ও তাদের কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে ওঠে এই এলাকা।
নদীর পানিতে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের নয়নাভিরাম দৃশ্য পর্যটকদের আকৃষ্ট করে দারুনভাবে। এই সেচ প্রকল্প এলাকায় চারপাশে রয়েছে সবুজের সামরোহ। এখানে পর্যটকদের নিরাপত্তা জোরদার করতে স্থাপন করা হয়েছে পুলিশ ফাঁড়িও।
মুহুরী নদীতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ভাসমান মাচ চাষ, নদীতে জাল ফেলে জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য, দেশের প্রথম বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, পরিকল্পিতভাবে মাছ চাষ, ডেইরি ফার্ম, ব্যক্তিগত পর্যায়ে নার্সারি ও এগ্রো খামারসহ ইত্যাদি চোখ জুড়ানো দৃশ্য মনে রাখার মতো।
জীবন জীবিকার তাগিদে খেটে খাওয়া মানুষদের হরেক রকম জীবন কর্মের দৃশ্যও দেশের অন্য অঞ্চলের মানুষের থেকে একটু ভিন্ন। লোনা পানিতে ভেসে চিংড়ি পোনা সংগ্রহের দৃশ্য সবার নজর কাড়বে।
কিন্তু যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর পর্যটন কেন্দ্র বা নগরী হিসেবে গড়ে ওঠার কথা থাকলেও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা বা ব্যক্তিগত উদ্যোক্তাদের সদিচ্ছার অভাবে কাঙ্ক্ষিত পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠেনি এটি। থাকা খাওয়ার সুব্যবস্থার অভাবে নিরাশ হতে হয় অনেক পর্যটককে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় আধুনিক একটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠলে কোটি টাকা রাজস্ব আয় হতো বলে স্থানীয়দের দাবি।
সোনাগাজী পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন জানান, এলাকাটি সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে পর্যটন কেন্দ্রের আওতায় এলে এলাকাবাসীর জীবন যাত্রার মান আরও উন্নত হতো এবং সরকারও লাভবান হতো।
এ ব্যাপারে ফেনী-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাজী রহিম উল্যাহ জাগো নিউজকে জানান, সরকারিভাবে পর্যটন কেন্দ্র ঘোষণা এবং অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য ডিও লেটার প্রদান করা হয়েছে।
রাশেদুল হাসান/এফএ/এমএস