একই পরিবারের ৩ রোহিঙ্গাকে গুলি করল দুর্বৃত্তরা
কক্সবাজারের টেকনাফের নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় দুর্বৃত্তের গুলিতে একই পরিবারের ৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন, টেকনাফ নয়াপাড়া ক্যাম্পের আই ব্লকের এক নম্বর রুমের গৃহকর্তা (এমআরসি-৫৩৪৩ ও শেড-৫৫৮) মৃত হোসেন আলীর ছেলে আজিজুল হক (৫০), তার স্ত্রী তৈয়বা বেগম (৪০) ও ছেলে হোসেন জোহার (১৬)। আজিজুল হক আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সোর্স হিসেবে কাজ করতেন বলে প্রচার রয়েছে।
নয়াপাড়া ক্যাম্প পুলিশের দায়িত্বরত সহকারী উপ-পরিদর্শক মো. গোলাম আজম জানান, নয়াপাড়া ক্যাম্পে ডাকাতের গোলাগুলির খবরে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখান থেকে রোহিঙ্গা একই পরিবারের ৩ জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রোহিঙ্গাদের বরাত দিয়ে পুলিশ আরও জানায়, সোমবার সন্ধ্যায় রোহিঙ্গা শীর্ষ ডাকাত নুরুল আলম ও মোহাম্মদ সাদেকের নেতৃত্বে অস্ত্রধারীরা নয়াপাড়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আই ব্লকের বাসিন্দা আজিজুল হকের ঘরে হানা দেয়। এ সময় বাড়িতে থাকা লোকজন চিৎকার দিলে অস্ত্রধারীরা তাদের গুলি করে। এতে একই পরিবারের তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়। এ সময় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসছে দেখে হামলাকারীরা ফাঁকাগুলি করে ভীতি সঞ্চার করে পাহাড়ের দিকে ঢুকে পড়ে। পরে স্থানীয়রা গুলিবিদ্ধদের উদ্ধার করে ক্যাম্পের ভেতরে স্বাস্থ্য বিভাগে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাদের একেক জনের শরীরে দুই-তিনটি গুলি লাগার চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় রোহিঙ্গাদের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়দের মতে, গুলিবিদ্ধ আজিজুল হক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স হিসেবে কাজ করে আসছিলেন। বেশ কিছুদিন আগে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা জিয়া নামে এক অপরাধীকে পুলিশে দিয়েছিলেন আজিজ। এরই জের ধরে সোমবারের ঘটনাটি ঘটেছে বলে ধারণা করছেন রোহিঙ্গা নেতারা।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, বিষয়টি শুনেছি, হামলাকারীদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সায়ীদ আলমগীর/এমএএস/এমএস