স্ত্রী-মেয়েকে নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন আক্তার
২৮ বছর বয়সী রাজিয়া সুলতানা ৮ বছর ধরে তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত। সংসারের অভাবের কারণে চিকিৎসা চলছে না তার। একই সঙ্গে ৮ মাস ধরে তার ১০ বছরের মেয়েটিও থ্যালাসেমিয়ায় ভুগছে। এদিকে স্ত্রী-মেয়ের চিকিৎসার খরচ বহন করতে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন দিনমজুর আক্তার হোসেন। তাদের বাঁচাতে সরকারসহ সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আকুতি জানিয়েছেন তিনি।
আক্তার হোসেন লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার বামনী ইউনিয়নের সাইচা গ্রামের বাসিন্দা। এক সময় তিনি কনফেকশনারি ব্যবসায়ী ছিলেন। কিন্তু স্ত্রীর চিকিৎসার খরচ চালাতে গিয়ে এক বছর আগে দোকান ঘরসহ ব্যবসা বিক্রি করে দিয়েছেন তিনি। এখন দিনমজুরের কাজ করছেন।
জানা গেছে, ভারতের ক্রিশ্চিয়ান মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালে (সিএমসি ভেলোর) মেডিকেল বোর্ড বসিয়ে রাজিয়া সুলতানার চিকিৎসা চলছে। মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা হলেন, দেবাশিশ ডান্ডা, জন ম্যাথিউ, রুচিকা গল, সানদিয়া, আশিশ জেকব ম্যাথিউ ও অশিন এম নায়ার। রাজিয়া এখন তাদের চিকিৎসায় ওষুধ সেবন করে আসছেন।
অন্যদিকে তার মেয়েটি থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হসপিটালের চিকিৎসক এমএজে মৃণাল কান্তি সরকার ও সিওএল মিমি পারভিনের অধীনে চিকিৎসাধীন।
আক্তার হোসেন বলেন, চিকিৎসকরা বলেছেন ওষুধের নির্ধারিত ৬ মাস শেষ হলে আবার ভারত হাসপাতালে নিতে হবে। এতে প্রায় ৩ লাখ টাকার প্রয়োজন। আমার মেয়েও অসুস্থ। তার চিকিৎসার খরচও চালানো চরম কষ্টকর। এ অবস্থায় স্ত্রীর চিকিৎসার খরচ চালানোর সামর্থ্যই এখন আমার নেই।
সহযোগিতা পাঠাতে পারেন আক্তার হোসেন, হিসাব নম্বর- ২১৫২১০১০৯৪৮১৪, পূবালী ব্যাংক, মীরের হাট শাখা, রায়পুর, লক্ষ্মীপুর, মোবাইল : ০১৭১২-৫৫৯৪৮৭।
কাজল কায়েস/এমএএস/পিআর