ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

বেরোবির জনসংযোগ দফতরে হামলা

প্রকাশিত: ০২:২৭ পিএম, ১৬ আগস্ট ২০১৫

মামলা পরিচালনার ব্যয়ভার বহনকে কেন্দ্র করে রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দফতরে হামলা চালিয়েছে কয়েকজন কর্মচারী। এসময় তারা দফতরের প্রধান মোহাম্মদ আলীকেও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর সূত্রে জানা যায়, শাহীন সরদার, ভলগা রুবেল, শাহীন বেগসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪-৫ জন কর্মচারী দুপুর ১টার দিকে ওই দফতরে ঢোকেন। পরে তারা মামলার হাজিরা বাবদ চাঁদা দাবি করলে দফতর প্রধান তাতে রাজি হননি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দফতরের জিনিসপত্র ছুড়ে ফেলে দিয়ে দফতর প্রধানকে মারধর করে তারা। এসময় দফতরের কর্মচারীরা এগিয়ে আসলে তাদেরও মারধর করা হয়।

হামলায় মোহাম্মদ আলী গুরুত্বর আহত হন। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

দফতর সূত্রে আরো জানা যায়, হামলার খবর শুনে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও সহকারী প্রক্টোর শাহীনুর রহমানও কক্ষে চলে আসেন। ফলে কিছুক্ষণ পরে হামলাকারীরা দফতর ছেড়ে চলে যান।

এ বিষয়ে মারপিটের শিকার দফতর প্রধান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওপর হামলার মামলার আসামি ওই কর্মচারীরা। তাদের মামলার হাজিরার তারিখ ছিলো আজ। এই খরচের টাকা তারা আমার কাছে চেয়েছিল। কিন্তু আমি কেন সেই টাকা দিবো এ কথা বলার এক পর্যায়ে তারা আমার দিকে তেড়ে আসে। দফতরের জিনিসপত্র ছুড়ে মারে’।

তিনি আরো বলেন, তারা আমাকেও মারপিট করে। এসময় যারা আমাকে বাঁচাতে এসেছে  তাদেরকেও তারা মারপিট করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টোর শাহীনুর রহমান জানান, তারা আমাদের সামনে মারপিট করে। পরে জোর করে তাদের সেখান থেকে বের করে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে হামলাকারী শাহীন সরদারের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজের জন্য আমাদের নামে মামলা হয়েছে। আর এই মামলার ব্যায়ভার উপাচার্য বহন করেন। আজকে মামলার তারিখ ছিলো। সেই খরচের টাকা চাইতে গিয়েছিলাম।

মামলা পরিচালনার টাকা উপাচার্যের কাছে চেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে শাহীন সরদার বলেন, উপাচার্যকে ফোন দিলে তিনি ফোন ধরেন না। আর এদের মাধ্যমে তিনি টাকা দেন। তাই তার কাছেই চেয়েছিলাম।

তবে মারপিটের কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন, মোহাম্মদ আলী আমাদের দিকে তেড়ে এসেছিলো। পরে পরিস্থিতি খারাপ দেখে আমরা দফতর থেকে বেরিয়ে আসি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোর্শেদ উল আলম রনি জানান, দফতর প্রধান আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করবো।

মামলা করা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তদন্তের পর তা বলা যাবে। তবে উপাচার্য চাইলে মামলা হতে পারে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. একে এম নুর উন নবীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনের সময় এরা শিক্ষকদের ওপর হামলা চালিয়েছিলো বলে তাদের নামে মামলা করেন শিক্ষকরা। সেই মামলার খরচ উপাচার্য বহন করেন বলে জানা গেছে।

একে/এমআরআই