সমাবেশের অনুমতি পায়নি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট
নতুন রাজনৈতিক জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে সিলেটে সমাবেশের অনুমতি দেয়নি পুলিশ। ২৩ অক্টোবর সিলেট নগরের রেজিস্টারি মাঠে সমাবেশের জন্য মহানগর পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়েছিল জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
পুলিশ জানায়, এই সমাবেশকে ঘিরে বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই নগরের নিরাপত্তার স্বার্থে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়নি।
যদিও সমাবেশের মধ্য দিয়েই আনুষ্ঠানিকভাবে সিলেটে নতুন এই জোটের কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রথম সমাবেশের শুরুতেই পুলিশি বাধার মুখে পড়ল ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন নতুন এই জোট।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশের পক্ষ থেকে সমাবেশের অনুমতি না দেয়ার কথা জানানো হয় বলে সন্ধ্যায় বিষয়টি জানান, সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সিলেটের সমন্বয়ক আলী আহমদ।
আলী আহমদ বলেন, আমরা ২৩ অক্টোবর দুপুরে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে ১৬ অক্টোবর মঙ্গলবার মহানগর পুলিশ কমিশনার বরাবর লিখিত আবেদন করেছিলাম। দুপুরে আমার মোবাইলে কল দিয়ে কোতোয়ালি থানার ওসি সমাবেশের অনুমতি না দেয়ার কথা জানান। অনুমতি না পেলেও জাতীয় ঐক্যজোটের কেন্দ্রীয় নেতারা ২৩ তারিখ সিলেটে আসবেন। ওইদিন তারা হজরত শাহজালাল (রহ.) ও হজরত শাহ পরানের (রহ.) মাজার জিয়ারত করবেন।
তিনি আরও বলেন, সমাবেশ হবে কিনা এ ব্যাপারে আমরা পরে আলাপ-আলােচনা করে সিদ্ধান্ত নেব। আমরা এখনো আশাবাদী পুলিশ আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অনুমতি দেবে।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সেলিম বলেন, এই সমাবেশকে ঘিরে বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়নি।
গত ১৬ অক্টোবর বিএনপি, যুক্তফ্রন্ট ও জাতীয় ঐক্যপ্রক্রিয়ার সমন্বিত সরকারবিরোধী জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রথম বৈঠক শেষে জানানো হয়, ২৩ অক্টোবর সিলেট সফরের মধ্য দিয়েই যাত্রা শুরু করবে এই জোট। জোটের শীর্ষ নেতারা এইদিন সিলেট সফরে এসে হজরত শাহজালালের (র.) মাজার জিয়ারত করবেন। সেই সঙ্গে সিলেটের রেজিস্টারি মাঠে ঐক্যফ্রন্টের প্রথম সমাবেশেরও আয়োজন করা হবে বলে জানানো হয়।
এই সমাবেশকে ঘিরে সিলেটের রাজনীতিতে কিছুটা উত্তেজনা দেখা দেয়। একদিকে সমাবেশ সফলের প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন বিএনপিসহ জোটের শরিক দলের নেতারা।
অন্যদিকে, ছাত্রলীগসহ ক্ষমতাসীন দলের অনেক নেতা জাতীয় ঐক্যজোটের অনেক নেতার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে সিলেটে তাদের প্রতিহতের ডাক দেন। মূলত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এই ডাক দেন তারা।
ছামির মাহমুদ/এএম/জেআইএম