আমি ড. কামালকে সাবাস জানাই
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নৌকা থেকে নেমে ধানের শীষের হাল ধরেছেন ড. কামাল হোসেন। এই জগাখিচুড়ি ঐক্য দিয়ে বিএনপি তরি পার হতে পারবে না।
তিনি বলেন, তবে আমি ড. কামাল হোসেনকে সাবাস জানাই। কারণ তিনি আমাদের দল ছেড়ে ধানের শীষের হাল ধরেছেন। যে ধানের শীষে শীষ নেই, আছে শুধু চিটা। যাদের সঙ্গে তিনি হাত মিলিয়েছেন, তারা খুনিদের রাজত্ব কায়েম করেছিল। অবশ্য কামাল হোসেন এটা করতেই পারেন। কারণ তিনি কালো টাকা সাদা করতে পারেন।
রোববার দুপুরে পদ্মা সেতু পরিদর্শন শেষে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় আয়োজিত আওয়ামী লীগের জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, খালেদা জিয়া জেলে যাওয়ার সময় বিএনপি আর কোনো নেতা খুঁজে পায়নি। ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, মানি লন্ডারিং মামলাসহ অনেক মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারেক জিয়াকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করেছে বিএনপি। জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া এবং তারেক জিয়া কালো টাকা সাদা করার কারখানা তৈরি করেছেন। বিষয়টি ‘রতনে রতন চেনে, শিয়ালে চেনে কচু’। এই কারণেই তাদের সঙ্গে কামাল হোসেন গংরা হাত মিলিয়েছেন। তবে তাদের সঙ্গে ন্যায়ের ঐক্য হতে পারে না।
আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, এদেশে কোনো ঘর অন্ধকার থাকবে না। সব ঘরে আলো পৌঁছে দেয়া হবে। যেটা কেউ করতে পারে না, সেটা আওয়ামী লীগ করতে পারে। আমরা এদেশকে শিল্প উন্নয়ন দেশ করতে চাচ্ছি। কৃষি খাতকে একটি আধুনিক ও যুগোপযোগী ব্যবস্থার মধ্যে নিয়ে যেতে চাই। এ জন্য কৃষি খাতে কৃষি উপকরণসহ নানা রকমের ভর্তুকি দিয়ে যাচ্ছি। এখন কৃষক ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে সুবিধা নিতে পারছেন। আমাদের ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়া শিখে মানুষের মতো মানুষ হতে পারছে।
নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা বার বার নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাদের ক্ষমতায় এনেছেন। আমরা সেই ক্ষমতার সঠিক ব্যবহার করেছি। নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ায় এদেশের মানুষ মাতৃভাষার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে, স্বাধীনতা পেয়েছে। এখন উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে। তাই আগামীতেও নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিন।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের পরিচালনায় জনসভায় আরও বক্তব্য রাখেন- জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান ও রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক প্রমুখ।
এ কে এম নাসিরুল হক/এএম/আরআইপি