মির্জা ফখরুলও টের পেয়েছেন ডিজিটাল আইন জরুরি : মোস্তাফা জব্বার
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, আমরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন যখন করলাম তখন আমাদের তুলাধুনা করা হল। আজকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জিডি এন্ট্রি করেছেন তার ফেক আইডির জন্য। এতদিনে তিনি টের পাচ্ছেন যে এ আইনটা কী জরুরি দরকার ছিল। আমি নিশ্চিতভাবে বলি আমাদের ডিজিটাল দুনিয়া যত সম্প্রসারিত হবে অপরাধের মাত্রাও তত বাড়বে এবং ততবেশি প্রয়োজন অনুভব করবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের।
শুক্রবার বিকেলে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ছয়দানা এলাকায় ফাইভ স্টার মোবাইল ফোন কারখানার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ফেসবুকের সঙ্গে আমাদের যে সম্পর্ক আছে কোনো ফেক আইডি যদি থাকে আমরা শনাক্ত করতে পারি। সেটা যদি রিপোর্ট করা হয় ফেসবুক আমাদেরকে এটা সরিয়ে ফেলতে সহযোগিতা করে। আমরা কেবল ফেসবুকের ওপর নির্ভরশীল থাকব না। আমাদের নিজস্ব সক্ষমতা থাকছে। আমরা আশা করছি নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের ভেতরে আমাদের সক্ষমতা তৈরি হবে, যাতে আমরা পুরোটা মিটআপ পারি। অতএব অসহায়ের মত বসে থাকার মত অবস্থাতে আমরা এখন বিরাজ করি না। আইনগত কাঠামো ছিল না। এটা একটা দুর্বলতা ছিল। প্রযুক্তিগত যে সক্ষমতা অর্জন করা দরকার বাংলাদেশ এখন সেই জায়গায় সক্ষম হয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, যন্ত্রাংশ আমদানি করতে যে কর কাঠামো থাকবে, তার চাইতে বেশি কর থাকবে যদি আমরা পূর্ণ যন্ত্রটা আমদানি করি। এটা আমরা নিশ্চিত করেছি। আমরা এসব প্রতিষ্ঠানটিকে যদি হাইটেক পার্ক ঘোষণা করি তাহলে তারা ১০ বছরের কর মেয়াদ পাবে। প্রথম সাত বছর পাবে শতভাগ এবং পরের তিন বছর পাবে ৭০ শতাংশ।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, বিদেশি যে সকল পণ্য বা ব্র্যান্ড আছে আমরা তাদের সঙ্গে শুধু প্রতিযোগিতা নয়, আমাদের ব্র্যান্ড সারা বিশ্বে নেতৃত্ব দেবে। আমরা দেশে সেই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি করেছি। সেজন্য আজ বিদেশিরা আমাদের দেশের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, বিটিআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. জহিরুল হক, কমিশনার আমিনুল হাসান, মহাপরিচালক মো. নাসিম পারভেজ, মুক্তিযোদ্ধা মহাজোট কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক সভাপতি মনিরুল হক, ফাইভ স্টার মোবাইল কারখানার চেয়ারম্যান মো. অলিউল্লাহ, হেড অব বিজনেস অপারেশন মো. বশির উদ্দিন প্রমুখ।
কারখানার চেয়ারম্যান মো. অলিউল্লাহ জানান, ২০ হাজার বর্গফুটের আল আমিন অ্যান্ড ব্রাদার্সের ফাইভ স্টার মোবাইল কারখানায় হ্যান্ড সেট সংযোজন, গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগ, নিয়ন্ত্রণ বিভাগ এবং টেস্টিং ল্যাব রয়েছে। কারখানাটিতে পাঁচশ জন মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। প্রাথমিকভাবে বছরে ১৮-২০ লাখ ইউনিট হ্যান্ডসেট উৎপাদন করা হবে। এরই মধ্যে স্থাপন করা হয়েছে ৫-৭টি প্রোডাকশন লাইন।
আমিনুল ইসলাম/আরএআর/পিআর