ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

জনসংহতি সমিতির হাট-বাজার বর্জনের ঘোষণা

প্রকাশিত: ০১:০৭ পিএম, ১৪ আগস্ট ২০১৫

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নের দাবিতে অসহযোগ আন্দলনের আহ্বান জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)। এর অংশ হিসেবে আগামী ১৯ আগস্ট বান্দরবানে হাট-বাজার বর্জনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, শান্তি চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নে সরকার আগ্রহী নন । চুক্তিপূর্ণ বাস্তবায়নের দাবির চলমান অসহযোগ আন্দোলনের অংশ হিসেবে ১৯ আগস্ট (বুধবার) জেলাব্যাপী সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সকল হাট-বাজার বর্জনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। তবে ওই দিন জেলার জরুরি ওষুধের দোকান ও ওষুধ ক্রয়-বিক্রয় আওতামুক্ত রাখা হয়েছে।

এদিকে, হাটবাজারে বিলি করা প্রচারপত্রে দাবি করা হয় ১৮ বছর অতিক্রান্ত হলেও চুক্তির মৌলিক বিষয়গুলো বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম অধ্যুষিত অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য সংরক্ষণ, আঞ্চলিক পরিষদ ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ সংবলিত বিশেষ শাসন ব্যবস্থা কার্যকরণ, ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি অভ্যন্তরীণ জুম উদ্বাস্তু ও প্রথাগত জুম শরণার্থীদের পুনর্বাসন, ভূমি ইজারা বাতিলকরণ, পার্বত্য চট্টগ্রামের সব চাকরিতে পার্বত্য জেলার স্থায়ী অধিবাসীদের নিয়োগ, ১৯০০ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি অন্যান্য সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধনসহ আরো মৌলিক বিষয় বাস্তবায়িত না হওয়ায় পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি ক্রমাগত জটিল থেকে জটিলতর অবস্থার দিকে ধাবিত হচ্ছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির বান্দরবান জেলা শাখার সভাপতি উ চ মং মার্মা জানান, পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তিসহ মৌলিক বিষয়গুলো এখনও সরকার বাস্তবায়ন করেনি। পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে অসহযোগ আন্দোলনের অংশ হিসেবে হাট-বাজার বর্জন কর্মসূচির ডাক দেয়া হয়েছে।

বান্দরবান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) জসিম উদ্দিন জানান, নির্বিঘ্নে হাট-বাজারে পণ্য কেনাবেচায় যাতে বাধা দিতে না পারে সে বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করব। কর্মসূচিকে ঘিরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন করা হবে। এছাড়া সাদা পোশাক পরিহিত পুলিশও মোতায়েন থাকবে।

সৈকত দাশ/এআরএ/পিআর