আমার ছেলের মৃত্যুদণ্ড দিল, আল্লাহর কাছে বিচার দিলাম
২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার মামলার রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে রয়েছেন ঝিনাইদহের তিনজন।
তারা হলেন- শৈলকুপা উপজেলার গাড়াগঞ্জ বাজারের আবুল কালাম আজাদ ওরফে বুলবুল, কালীগঞ্জ উপজেলার সুগার মিল পাড়ার হোসাইন আহমেদ তামিম এবং ঝিনাইদহ পৌরসভাধীন পবহাটি গ্রামের উজ্জ্বল ওরফে রতন। তারা তিনজনই কারাগারে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান বলেন, গ্রেনেড হামলার মামলার রায়ে যাদের মৃত্যুদণ্ড হয়েছে তাদের মধ্যে ঝিনাইদহের তিনজন রয়েছে। রায় ঘোষণার পরপরই জেলার গুরুত্বপূর্ণ সব স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
এদিকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত উজ্জ্বল ওরফে রতনের বাবা বেলায়েত হোসেন বলেন, ষড়যন্ত্র করে আমার ছেলেকে এ মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। আমার ছেলে নিরপরাধ। যারা আমার ছেলেকে এ মামলায় ফাঁসিয়ে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আমি আল্লাহর কাছে বিচার দিলাম। আল্লাহ যেন তাদের বিচার করেন।
অপরদিকে এ মামলার রায়ের প্রতিক্রিয়ায় ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু বলেন, গ্রেনেড হামলার মূল পরিকল্পনাকারী তারেক রহমান। রায়ে তার ফাঁসি হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু আদালত যে রায় দিয়েছেন তার প্রতি আমাদের সম্মান রয়েছে। তাই আমরা চাই এ রায় যেন দ্রুত কার্যকর করা হয়।
রায় ঘোষণার পর দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে একটি আনন্দ মিছিল বের করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পায়রা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়ে অবিলম্বে রায় কার্যকর ও তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় মতিঝিল থানায় করা হত্যা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
আহমেদ নাসিম আনসারী/এএম/আরআইপি