ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

সাতক্ষীরা থেকে ফেরত গেল সোলার প্রকল্পের ২ কোটি টাকা

জেলা প্রতিনিধি | সাতক্ষীরা | প্রকাশিত: ০৯:২৯ পিএম, ০৯ অক্টোবর ২০১৮

সাতক্ষীরার প্রত্যন্ত উপজেলা আশাশুনি। উপকূলীয় এ এলাকার মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। প্রত্যন্ত দুর্গম এলাকায় পৌঁছাতে গেলে এখনো পোহাতে হয় সীমাহীন দুর্ভোগ।

এ উপজেলার মধ্যে এখনো যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি সেখানে সোলার সিস্টেমের মাধ্যমে আলোকিত করার জন্য প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। অর্থও বরাদ্ধ দেয়া হয়। তবে ঠিক সময়ে পার্টনার অরগানাইজেশন (পিও) নির্ধারণ না হওয়ায় সরকারি কোষাগারে ফেরত গেল ২ কোটি ১০ লাখ ২৮ হাজার টাকার বরাদ্দ। বরাদ্দ ফেরত যাওয়ায় এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন এলাকার মানুষ।

জানা গেছে, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে সোলার সিস্টেম স্থাপনের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়। যা ২০১৮ সালের জুনের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করার কথা। তবে ঠিক সময়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কাজের জন্য পার্টনার অরগানাইজেশন (পিও) নির্ধারণ করতে পারেনি। ফলে সৃষ্টি হয় জটিলতা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ১৬ এপ্রিল পিও নির্ধারণের জন্য তাগিদ দেন। সরকারের বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে ১৬ দিন বাকি থাকতে ১৪ জুন স্থানীয় আরডিএস নামের বেসরকারি সংস্থা পিও নির্ধারণ করেন। কাজ শেষ হওয়ার মাত্র ৫-৬ দিন আগে ২৫ জুন ১৮ লাখ ২৫ হাজার ১৫৭ টাকার চেক দেয়া হয়। সে কাজটুকু সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে।

এদিকে, মন্ত্রণালয়ের তাগাদা ও কাজের সময় না থাকায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার বাধ্য হয়ে ২ কোটি ১০ লাখ ২৮ হাজার টাকা ফেরত দেন।

এ বিষয়ে আশাশুনি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম জাগো নিউজকে বলেন, সঠিক সময়ে বরাদ্দ না পাওয়ার কারণে টাকাটা ফেরত গেছে। যখন টাকা বরাদ্দ এসেছে তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। তাছাড়া দায়িত্বে থাকা বেসরকারি সংস্থা ইটকল সঠিক সময়ে পিও নিয়োগ করতে পারেনি। এতে করে বঞ্চিত হয়েছেন আশাশুনি উপজেলার মানুষ। এটা খুব দুঃখজনক। তবে ফেরত যাওয়া টাকা ছাড়াও আমার হাতে এ প্রকল্পের ৩৮ লাখ টাকা এসেছিল। সঠিক সময়ে সেই টাকার সোলার বিতরণ সম্ভব হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে আশাশুনি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহরিয়ার মাহমুদ রজ্ঞুর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাফফারা তাসনীন বলেন, অর্থবছর শেষ হওয়ার মাত্র কয়েক দিন আগে বরাদ্দ পাওয়া যায়। তবে পাওয়া বরাদ্দ ব্যবহারের জন্য সময় পাওয়া যায়নি। প্রকল্পের দায়িত্বে ছিল বেসরকারি প্রতিষ্ঠান (ইটকল)। তারা সঠিক সময়ে পিও নিয়োগ করতে পারেনি। যার কারণে বরাদ্দের টাকা ফের দিতে হয়েছে।

আকরামুল ইসলাম/এএম/আরআইপি

আরও পড়ুন