রিকশা চালকের পা নিল ছোট ভাই, প্রাণ গেল বড় ভাইয়ের
কক্সবাজারে বেপরোয়া গতির প্রাইভেটকারের ধাক্কায় শরীর থেকে রিকশা চালকের পা বিচ্ছিন্ন করা চেয়ারম্যান পুত্র রিয়াদের বড় ভাই জিসান মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন।
বন্ধুকে নিয়ে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেলযোগে রামু যাওয়ার পথে সোমবার বিকেলে এ দুর্ঘটনায় পড়ে প্রাণ হারান জিসান। গত ২২ এপ্রিল রিয়াদের ছোট ভাই জিসানের বেপরোয়া গতির প্রাইভেটকার রাস্তায় পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক রিকশা চালককে ধাক্কা দিয়ে আহত করে। এতে ওই রিকশা চালকের পা কেটে ফেলতে হয়।
মুহাম্মদ জিসান (১৯) কক্সবাজারের রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনুছ ভুট্টোর বড় ছেলে। দুর্ঘটনায় তার এক বন্ধু গুরুতর আহত হয়েছেন। তবে তার পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।
চেয়ারম্যান ইউনুছ ভুট্টোর ভাই নুরুল আজিম দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সোমবার বিকেল ৩টার দিকে বন্ধুকে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে রামুতে যাচ্ছিল জিসান। কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বাংলাবাজারে পৌঁছলে একটি প্রাইভেটকারের সঙ্গে তাদের মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এতে গুরুতর আহত হয় তারা। তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায় জিসান। চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে জিসানের বন্ধু।
এর আগে গত ২২ এপ্রিল কক্সবাজার পৌরসভার হাশেমিয়া ব্রিজ এলাকায় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে বিশ্রাম নিতে থাকা মহেশখালীর আবদুল মালেক নামের এক রিকশা চালককে চাপা দেয় জিসানের ছোট ভাই রিয়াদের বেপরোয়া গতির প্রাইভেটকার।
এতে রিকশা চালক মারাত্মক জখম হন। পরে তার একটি পা কেটে ফেলতে হয়। ওই সময় গণমাধ্যমকর্মী ও এমপি আশেক উল্লাহ রফিকসহ অনেকে অনুরোধ করলেও রিকশা চালকের চিকিৎসার খরচ দেননি চেয়ারম্যান ইউনুচ ভুট্টো।
পরে এ ঘটনায় করা মামলায় রিয়াদকে গ্রেফতার করেছিল ডিবি পুুলিশ। পরে জামিনে বের হন তিনি। সোমবার সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান চেয়ারম্যানের বড় ছেলে জিসান।
সায়ীদ আলমগীর/এএম/পিআর